মনোরম সৌন্দর্যের গাছ ক্যকটাস।বর্তমান করনা পরিস্থিতিতে সবাই যখন চারদেয়ালে বন্দি, তখন প্রকৃতির ছোয়া পেতে উদগ্রীব হয়ে ওঠে মন। প্রকৃতির অন্যতম একটি উপাদান গাছ। তাই প্রকৃতির উপাদান গাছ এনে দিতে পারে ঘরের ভেতরেই প্রকৃতি।
সামান্য আলো-বাতাসেও ক্যকটাস জাতীয় গাছ দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে পারে। সেকারনে এ ধরনের গাছ বেশি পছন্দ করছেন শৌখিন মানুষজন।
সব ধরনের গাছ তো আর ঘরের ভেতর ভালো থাকে না। সেদিক থেকে ক্যকটাস ব্যাতিক্রম। ক্যাকটাস দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে পারে সহজেই, প্রায় সব খানে। বিশেষ করে বারান্দা বা বসার ঘরকে অতূলনীয় করে মনোরম সৌন্দর্যের গাছ ক্যকটাস।
শোবার ঘর কিংবা বেডরুমে ক্যাকটাস জাতীয় গাছ অনায়াসে রাখা যায়। এতে ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়, পাশাপাশি প্রকৃতির ছোয়া অনুভব করা যায়। মেঝে, সিঁড়ি কিংবা বারান্দায় সুন্দরভাবে সাজানো যায় মনোরম সৌন্দর্যের গাছ ক্যকটাস।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার নার্সারি গুলো তে তেমন বিক্রয় নেই। লকডাউনে যদিওবা ব্যাবসা বন্ধ, কিন্তু বিক্রেতারা ক্যাকটাস গাছের অরডার পান বলে জানান।
বাড়ির সৌন্দর্য বাড়াতে কেমন ক্যাকটাস ?
প্রায় ২০০০ জাতের ক্যাকটাস গাছ বিদ্যমান এই পৃথিবীতে। এর মধ্যে আমাদের দেশে টবে লাগানোর উপযোগী কয়েকটি হল গোল্ডেন ব্যারেল, একাইনো, এপিফাইলাম, নিপল, সেরিয়াস, ওল্ড লেডি, সেরিয়াস, ফণীমনসা, ক্যাব ক্যাকটাস, বানি ইয়ারস, চিনা, সাগুয়ারো, ব্যারেল, ইত্যাদি।
বাড়ির সৌন্দর্য বাড়াতে ক্যাকটাসের ফুল ফোটানোর প্রয়োজন। সেই সাথে যথাযথ বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন যথাযথ পরিচর্যা।
সাধারণত স্বল্প আর্দ্রতায় এ ধরনের গাছগুলো ভালো থাকে। অন্য সকল গাছের মতই ক্যাকটাস গাছ আলো-বাতাসযুক্ত আবহাওয়ার মধ্যে সতেজ ও সজীব থাকে। যদি ঘরের মধ্যে ক্যাকটাস গাছ রাখেন তাহলে অবশ্যই আলো-বাতাসযুক্ত স্থানে রাখবেন।
কোনো অবস্থাতেই ক্যাকটাস গাছের গোড়ায় পানি জমে থাকতে পারবে না। নাহলে গাছের গোড়া পচে গাছ মরে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। এক সপ্তাহ অথবা দুই সপ্তাহ পর পর পানি দিতে হয়
গ্রীষ্মের সময় সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন পর পানি দিতে হবে। আর শীতকালে এক দুই দিন পর অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানির পরিমাণ বেশি হওয়া যাবে না, এতে গাছ পচে যেতে পারে।
লক্ষ রাখতে হবে যাতে কোনোভাবেই গাছের গোড়ায় পানি জমে না থাকে। যারা গাছ বিক্রি করেন তারাও এই পরামর্শ দিয়ে থাকেন।