বালাইনাশকের কাঁচামাল আমদানিতে আর কোন বাধা নেই। বিদেশি উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে বালাইনাশকের কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। আর এ সুযোগ সরকার উন্মুক্ত করে দিয়েছে এখন। এতে এধরণের কৃষিপণ্যর উৎপাদন আরও বাড়বে। তাতে সুযোগ তৈরি হবে পণ্যটি বিদেশে রপ্তানিরও। বালাইনাশকের কাঁচামাল আমদানিতে বাধা না থাকায় একে স্বাগত জানিয়েছেন সকলে।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ এগ্রোক্যামিক্যালস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএএমএ) থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বিএএমএ
বিএএমএর আহ্বায়ক কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, বালাইনাশক আইন-২০১৮ এবং ইতোপূর্বে প্রণয়ন করা বিধিসমূহে কাঁচামাল আমদানিতে বাধা ছিল না।
বিদেশি উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে সহজেই কাঁচামাল আমদানি করা যেত।
কিন্তু ৬৯-৭৬তম বালাইনাশক কারিগরি উপদেষ্টা কমিটি সোর্স পরিবর্তন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
এতে ব্যবসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল দেশীয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর।
তিনি জানান, এখন প্রতিষ্ঠানগুলো ইচ্ছামতো যে কোনো বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানি থেকে বালাইনাশকের কাঁচামাল আমদানি করতে পারবে।
বিদেশি কোম্পানি এবং তাদের এজেন্টসমূহ এখন কাঁচামালের অতিরিক্ত দাম নিতে পারবে না।
সরকারের এ নির্দেশনা কার্যকর হলে দেশেই মানসম্পন্ন বালাইনাশক উৎপাদন অনেক বাড়বে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এর ফলে উন্মোচিত হবে রপ্তানির দুয়ার এমনটাই মনে করেন বিএএমএ আহ্বায়ক।
বিদেশি উৎপাদনকারী যে কোনো কোম্পানির কাছ থেকে কাঁচামাল আমদানির সুযোগকে বিএএমএ স্বাগত জানিয়েছে।
এ সুযোগ উন্মুক্ত করে দেবার কারণে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএএমএ আরও জানায়, সরকারের কাছে তাদের পাঁচটি দাবির মধ্যে দুটি নিরসন হচ্ছে।
এই দুটি হচ্ছে সোর্স উন্মুক্তকরণ এবং এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) বিষয়ক জটিলতা।
এরই মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় সেই পদক্ষেপ নিয়েছে।
তবে এখনো পূরণ হয়নি আরও কিছু দাবি।
এর মধ্যে বালাইনাশক কারিগরী উপদেষ্টা কমিটির সভায় বিএএমএ প্রতিনিধিদের উপস্থিতি।
অপরটি হল দেশি উৎপাদকদের পণ্য স্থানীয় বাজারে বিক্রির ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি পূরণ হয়নি।
বিএএমএর সদস্য সচিব আবু জাহাঙ্গীর খান, বাংলাদেশ এগ্রিকালচারার ইন্ডাস্ট্রিজের প্রোপাইটর এম এ মান্নান ও পদ্মা এগ্রো স্পেয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল আলীম প্রমুখ এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
২০১৫ সাল থেকে দেশীয় কোম্পানিগুলোর জন্য একাধিক বিদেশি সোর্স পছন্দের সুযোগ বন্ধ ছিল।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের কারিগরি পরামর্শ প্রদানকারী কমিটির পরামর্শে এটি বন্ধ ছিল।
তাতে শর্ত ছিল, বালাইনাশক রেজিস্ট্রেশন হবার দুই বছরের মধ্যে রেজিস্ট্রার্ড ম্যানুফেকচারার বা সোর্স পরিবর্তন করা যাবে না।
যদিও নিয়মের এ ধরণের জটিলতা আগে ছিল না।
যার ফলে শর্তটি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিল দেশের বালাইনাশক উৎপাদনকারীরা।