
ডিলারদের দেয়া তথ্য অনুসারে, বাফার বরিশাল গুদাম থেকে বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরগুনা জেলার বিভিন্ন সার ডিলারদের মধ্যে সার সরবরাহ করা হয়। পটুয়াখালীর ডিলাররা সেখান থেকে সার তুলতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়বেন।
বাফার পটুয়াখালী গুদাম থেকে সরবরাহ করা তথ্য অনুসারে, গত বছরের ১ জুলাই থেকে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত এই ১৮ হাজার ৬২ মেট্রিক টন সার ডিলারদের সরবরাহ হয়েছে এই গুদাম থেকে। এই আগস্ট মাসে বরাদ্দ এসেছে ৪ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন সার, যার ৭৫ ভাগ বরিশাল গুদামে এবং ২৫ ভাগ পটুয়াখালীর গুদামে এসেছে। গত ২৩ আগস্ট পটুয়াখালীর মজুত শেষ হয়ে যায়।
চিঠি পেয়ে গত ৮ জুলাই জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়। বাফার গুদামের সার্বিক অবস্থা সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে এই কমিটি ২৮ জুলাই সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন জমা দেন।
এই প্রতিবেদনে গুদামের ছাদের কিছু অংশ দুর্বল বলে উল্লেখ করা হয়। গুদাম–সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতে, মেরামত করলে গুদামটি আরও কয়েক বছর ব্যবহার উপযোগী করা যাবে। ইতিমধ্যে গুদামটি মেরামতের জন্য প্রতিবেদন দাখিল করেছে বিসিআইসির গঠিত কমিটি । এই প্রতিবেদন অনুসারে এর প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।
পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক গত ৮ আগস্ট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাফার গুদাম পরিদর্শন প্রতিবেদনটি বিসিআইসির চেয়ারম্যান বরাবর পাঠিয়েছেন।
বিসিআইসি বরাবর বাফা-র চিঠি
এদিকে সার ডিলারদের সংগঠন বাফা পটুয়াখালী শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জেলা বাফার গুদামের কার্যক্রম বন্ধ না করতে কৃষক ও সার ডিলারদের পক্ষ থেকে বিসিআইসির চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি দেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, জেলায় বাফার গুদাম স্থাপনের পর থেকে কৃষক পর্যায়ে সারের সহজলভ্য হয়েছে। যার কারণে তরমুজ, মুগডাল, আউশ, বোরোসহ বিভিন্ন রবি ফসল উৎপাদনে বিস্তর সফলতা এসেছে। কৃষি ক্ষেত্রে এ সফলতা ধরে রাখার জন্য কৃষক পর্যায়ে সঠিক সময়ে সার পৌঁছানো খুবই জরুরি। এ অবস্থায় গুদাম বন্ধ করে দিলে তা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। যার ফলে চলতি আমন আবাদ ও উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।