
দেশের বিভিন্ন জেলায় বোরো ধান কাটা শুরু হওয়ায় বাজারে নতুন চাল আসতে শুরু করেছে। এতে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে মিনিকেট চালের দামে। ব্যবসায়ীদের তথ্য অনুযায়ী, ডায়মন্ড, মঞ্জুর ও রশিদসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল বর্তমানে প্রতি কেজি ৭৫ থেকে ৭৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৮৮ থেকে ৯০ টাকা। যদিও অন্যান্য চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে, নতুন ধান বাজারে আসায় সরু চালের দাম কিছুটা কমেছে, যা ভোক্তাদের জন্য স্বস্তির খবর।
সবজির বাজারে ঊর্ধ্বগতি
চালের দামে স্বস্তি থাকলেও সবজির বাজারে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। রমজান ও ঈদের পর থেকে সবজির দাম ক্রমাগত বাড়ছে। সাধারণ ও সাশ্রয়ী সবজি পেঁপেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। বিক্রেতাদের মতে, সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। ঢাকার বিভিন্ন কাঁচাবাজারে শাকসবজি কিনতে আসা ক্রেতারা হতাশ হচ্ছেন। বেশিরভাগ সবজির দাম এখন ৮০ টাকা কেজির ওপরে। শসা, করলা, ঝিঙা, কচুরমুখি, শজনে ডাঁটা ও কাঁচা মরিচের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। অনেক ক্রেতার মন্তব্য, “এখন আর কোনো সবজিই সস্তা নয়।”
ডিম ও মাংসের বাজারেও অস্থিরতা
ডিমের দামেও উঠানামা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এক সপ্তাহের মধ্যে ফার্মের ডিমের দাম ডজনে ৫ টাকা বেড়ে এখন ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতাদের দাবি, পাইকারি দাম বাড়ায় খুচরায়ও প্রভাব পড়েছে। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম স্থিতিশীল রয়েছে—প্রতি কেজি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে। গরুর মাংসের দামও উচ্চমাত্রায় রয়েছে (৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা/কেজি), যা অনেকের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে।
মাছ ও অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম চাপ সৃষ্টি করছে
মাছের বাজারে দামের তারতম্য দেখা যাচ্ছে। চাষের কই মাছ ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, রুই মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং পাবদা মাছ ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, রসুন, পেঁয়াজ, ডাল ও চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে বা স্থিতিশীল উচ্চমূল্যে রয়েছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়িয়ে দিচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে ভোক্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছেন, “যুদ্ধ-বিগ্রহ যেখানেই হোক, বাংলাদেশে পণ্যের দাম বাড়বেই।