দেশের উত্তর মধ্য অঞ্চলে ক্রমাগত বন্যা পরিস্থিতির দু:সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মানুষের মধ্যে এখন হাহাকার। ভেসে গেছে প্রায় ৫কোটি টাকার মাছ। বন্যায় এ ক্ষতি করোনা পরিস্থিতি ক্ষতির চেয়েও বেশি। ব্যাপক আকারে বন্যায় মাছের সাথে সাথে ভেসে গেছে তাদের স্বপ্নও।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মারফত জানা যায় সারা জেলায় ৫কোটি ৫৫লাখ টাকার মৎস্য সম্পদ এবার বন্যায় হারিয়ে গেছে। পরিসংখ্যান বলে জেলায় মোট জলাশয় আছে ৮৩ হাজার হেক্টর, যাতে মাছের উৎপাদন প্রায় ৮২ হাজার মেট্রিক টন। জেলায় মাছের চাহিদা মিটিয়েও আরও প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন উদ্বৃত্ত থাকে। কিন্তু অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলের কারণে সৃষ্ট বন্যায় প্রায় সকল উপজেলায় মৎস্য সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার ১০টি উপজেলার ৮ টি উপজেলাই ক্ষতিগ্রস্ত। ক্ষয়ক্ষতির হিসাব দাড়ায় ৫কোটি ৫৫ লাখে।
৮ টি উপজেলার মধ্যে কলমাকান্দা, বারহাট্টা ও আটপাড়া খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কলমাকান্দায় ১৬০৪টি, আটপাড়ায় ৩০০টি ও বারহাট্টার ২৮০টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে বন্যার পানিতে। পুজি হারিয়ে পথে বসেছেন অনেক চাষি।
এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, আমরা প্রতি উপজেলা থেকে তথ্য নিয়েছি। তাতে ক্ষতি হয়েছে ৫৮০ টন। তবে তিনি জানান মন্ত্রনালয়ে মৎস্য সম্পদের ক্ষতি পুষিয়ে নেবার জন্য বরাদ্দ চেয়েছেন তারা। বরাদ্দ পাবার সাথে সাথেই তা ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে বলে জানান।
উল্লেখ্য দেশে এবার করোনা ভাইরাসের প্রকোপে গত ৩-৪ মাস যাবত সকল প্রকার ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। তাতে সাধারণ মানুষ তাদের কাজকর্ম হারিয়ে খুবই বিপদে পড়েছেন। অনেকে তাদের চাকরি হারিয়ে এসেছেন শেষ আশ্রয়স্থল গ্রামের বাড়িতে। অনেকে এ সময়ে নিজের জমানো টাকা দিয়ে করতে চেয়েছেন চাষাবাদ। কিন্তু বন্যায় তাদের অনেকেরই সে সম্বলও হারিয়েছে। তাই অনেকটা পথেই বসেছেন তারা।