পঞ্চগড়ের বিখ্যাত জলপাই হাট এখন সরগরম। দেবীগঞ্জ উপজেলার দেবদারু তলার মৌসুমি ফলের বাজার। এটি এখন জলপাই হাটের জন্য পরিচিত। মৌসুমজুড়ে জমজমাট এই বাজার। প্রতিদিন বাজারটিতে জলপাই বিক্রি করতে আসেন হাজারও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। পঞ্চগড়ের বিখ্যাত জলপাই হাট, এখন এই নামেই এটি পরিচিত।
পঞ্চগড়ের বিখ্যাত জলপাই হাট
দেশের বিভিন্ন স্থানে সর্ববৃহৎ এই জলপাই হাট থেকে জলপাই পাঠানো হয়।
মান ও গুণের কারণে চাহিদা বেশি রয়েছে এখানকার জলপাই এর।
এতে ভালো দামও পাচ্ছেন স্থানীয় চাষিরা।
প্রতি বছরই একারণে জলপাই বাগান বাড়ছে দেবীগঞ্জ উপজেলায়।
স্থানীয় বাগান মালিকরা বলেন, মৌসুম শুরুর আগেই তাদের আগাম জামানত দিয়ে বাগান কিনে নেন।
দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা আসে।
দেবদারু তলার আড়তে পরিপক্ব হলে নিজেরাই বাগান থেকে জলপাই তুলে তা নিয়ে যান।
কোনো ধরনের বিড়ম্বনাই থাকে না তাদের এ ব্যাপারে।
দেবীগঞ্জের এই দেবদারু তলা শুধু জলপাই নয় জাম্বুরা, কলা, পেঁপেসহ নানা মৌসুমি ফলেরও বড় বাজার।
উত্তরের এই জনপদে সুষ্ঠু বিপণন ব্যবস্থার কারণে এর বাসিন্দাদের অর্থনৈতিক অবস্থাও সমৃদ্ধ হচ্ছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, দেবীগঞ্জের এই বাজারে জলপাইসহ নানা মৌসুমি ফল বিক্রি হয় সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত।
বিখ্যাত জলপাই হাটে বিক্রি হয় ৫ লাখ টাকার জলপাই
এখানে গড়ে প্রতিদিন ৫ লাখ টাকার জলপাই বিক্রি হয়।
প্রকারভেদে প্রতি কেজি জলপাইয়ের দাম থাকে ১০ থেকে ৪০ টাকা।
ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ বাজারে ৪০ থেকে ৬০ টন জলপাই কেনাবেচা হয় প্রতিদিন।
এখানে জলপাই আনেন হাজার খানেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা ট্রেন ও সড়ক পথে পরিবহনের সুযোগ থাকায় এখানে জলপাই কিনতে আসেন।
লাভজনক ও বিপণন সুবিধা রয়েছে।
তাই উপজেলায় এখন ক্রমান্বয়ে বাড়ছে বাগান।
দেবীগঞ্জসহ আশেপাশের অনেক বেকার মানুষের জলপাইকে ঘিরে কর্মসংস্থান হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাফিয়ার রহমান।
তিনি জানান, জলপাইয়ের ছোট-বড় অনেক বাগান রয়েছে দেবীগঞ্জে।
আরও নতুন নতুন বাগান গড়ে উঠেছে উপজেলায়।
দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ এলাকার জলপাইয়ের চাহিদা আছে।
একই সাথে ভালো দাম পাবার কারণে চাষিদের মধ্যে বাগান করার প্রবণতা বাড়ছে।
পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মিজানুর রহমান।
তিনি জানান, অর্থকরী ফসলের পাশাপাশি মাল্টা, কমলা, পেয়ারা, জাম্বুরা এবং জলপাই চাষে আশাতীত সাফল্য পেয়েছেন অনেকে।
এর কারণে অনেকে এখন এসব ফল চাষ করছেন।
কৃষি বিভাগ তাদের সহযোগিতায় তদারকি বাড়িয়েছে।