
নাটোরের গুরুদাসপুরে এবার রসুনের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়ার কারণে নাটোরের সাতটি উপজেলায় ২৫ হাজার ১৩০ হেক্টর জমিতে রসুন আবাদ হয়েছে, যা দেশের মোট রসুন আবাদ এলাকার প্রায় ২৯ শতাংশ।
জেলায় উৎপাদিত রসুনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ১১ হাজার ২০৮ মেট্রিক টনে, যা দেশের মোট রসুন উৎপাদনের প্রায় ৪২ শতাংশ। এই বিপুল উৎপাদনের বর্তমান বাজারমূল্য আনুমানিক ২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা।
গুরুদাসপুর, চাঁচকৈড়, ধারাবারিষা, নাজিরপুর, কাছিকাটাসহ স্থানীয় হাটবাজারগুলোতে এখন রসুন বিক্রি হচ্ছে জমজমাটভাবে। ফলে এসব বাজার থেকে সরকারের রাজস্ব আয় যেমন বাড়ছে, তেমনি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানেও ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।
তবে এই সাফল্যের মাঝেও বিদেশ থেকে রসুন আমদানির কারণে বাজারে দামের চাপ পড়তে পারে বলে আশঙ্কায় রয়েছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। গুরুদাসপুরের ব্যাপারী গোলাম মোল্লা ও রহমত আলী জানান, দেশের বাজারে আমদানি করা রসুন আসলে স্থানীয় কৃষকরা ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।
গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুনর রশিদ জানান, ‘আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার রসুনের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা বাজারে ভালো দাম পাচ্ছেন, এতে তাঁদের আর্থিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হচ্ছে।’
চলনবিল অঞ্চলের কৃষকরা সরকারের নিকট আমদানি সীমিত রাখার দাবি জানিয়েছেন, যাতে দেশীয় উৎপাদন বিক্রি করে তাঁরা ন্যায্য লাভ নিশ্চিত করতে পারেন।