পরিবহনের খরচসহ গুণগত মান যাচাইয়ের জটিলতা রয়েছে। আর এর কারণে উপজেলা খাদ্যগুদামে ধান বিক্রিতে অনীহা দেখাচ্ছেন কৃষকেরা। ধান বিক্রিতে অনীহা দেখাচ্ছে রংপুর জেলার বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ উপজেলার খাদ্যগুদামে। তাই গত ৮২ দিনেও লক্ষ্যমাত্রার এক শতাংশ ধানও সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষের।
সরকারি মূল্য বাজারের মূল্যের প্রায় কাছাকাছি। সে কারণেই কৃষকেরা খাদ্যগুদামে ধান বিক্রিতে অনীহা দেখাচ্ছেন।
শনিবার পর্যন্ত এক শতাংশও পূরণ হয়নি
সরকারি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে তারাগঞ্জ খাদ্যগুদামে চাল সংগ্রহ করার কথা ছিল ২ হাজার ৯৫২ মেট্রিক টন। অন্যদিকে ধান সংগ্রহ করার কথা ছিল ৬৯৭ মেট্রিক টন।
অন্যদিকে বদরগঞ্জ উপজেলার ১ হাজার ১৮৩ মেট্রিক টন ধান ও ৯৭৬ মেট্রিক টন চাল কেনার কথা ছিল চলতি মৌসুমে।
এই অভিযান শুরু হয় গত বছরের ১৫ নভেম্বর যা চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
সূত্র জানায় প্রতি কেজি ধান ২৭ ও চাল ৪০ টাকা দরে কেনা হচ্ছে এবার।
কিন্তু গতকাল শনিবার পর্যন্ত বদরগঞ্জ খাদ্যগুদামে মাত্র ৬ টন চাল সংগ্রহ করে।
অন্যদিকে তারাগঞ্জে ৩ টন ধান কিনতে পেরেছে খাদ্য বিভাগ।
সরেজমিনে দুই উপজেলার বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে প্রতি কেজি আমন ধান ২৫.৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খাদ্যগুদাম সূত্র থেকে বলা হয়, নির্দেশনা অনুযায়ী ওই দুই উপজেলার কৃষকেরা অ্যাপস এর মাধ্যমে তাদের নাম নিবন্ধন করেন।
পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিবন্ধিত কৃষকদের লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়।
চলতি মৌসুমে গুদামে বদরগঞ্জে অ্যাপের মাধ্যমে ১ হাজার ১৭৩ জন নিবন্ধন করেন।
অপরদিকে তারাগঞ্জে ২ হাজার ১২০ জন কৃষক নিবন্ধন করেন ধান বিক্রি করতে।
লটারি করে বদরগঞ্জে ৩৯০ ও তারাগঞ্জে ২৩১ জন কৃষককে নির্বাচন করা হয় যারা খাদ্যগুদামে ধান বিক্রয় করতে পারবেন।
বদরগঞ্জ খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ধানের সরকারি দাম বাজারের দামের প্রায় সমান।
যার কারণে কৃষকেরা গুদামে ধান বিক্রি করতে অনীহা দেখাচ্ছেন।
তবে চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন এ কর্মকর্তা।
তারাগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।
তার মতে, নিয়ম মেনে গুদামে ধান বিক্রি করতে বর্তমানে কৃষকের খরচ বেশি হয়।
একই সাথে সরকারি দামের চেয়ে বাজারে দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকেরা ধান গুদামে আনছেন না।
ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে তিনি আশংকা প্রকাশ করেন।