দেশে দুধের দাম নির্ধারণে কোনো সরকারি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নেই, যার সুযোগে বেসরকারি কোম্পানিগুলো নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে তারা কাউকে না জানিয়ে লিটারপ্রতি ১০ টাকা বাড়িয়েছে।
বেসরকারি কোম্পানিগুলোর দাবি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, প্যাকেজিংসহ নানা খাতে খরচ বেড়ে যাওয়ায় তারা দুধের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে। প্রাণের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধা বলেন, “খামারি পর্যায়ের দাম বাড়ানোর কারণেই ভোক্তা পর্যায়ের প্যাকেজিংয়ে দুধের দাম বাড়াতে হয়েছে।”
তবে খামারিদের দাবি, তাদের লিটারপ্রতি সর্বোচ্চ ২ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ইমরান হোসেন প্রশ্ন তুলেছেন, “৬ মাসে ডলারের মূল্য অপরিবর্তিত থাকলেও কোম্পানিগুলো কেন ১০ টাকা বাড়াচ্ছে?”
ভোক্তা ও বাজারের অবস্থা
সরকারি প্রতিষ্ঠান মিল্ক ভিটার দুধের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও এর সরবরাহ কম। ফলে বাজারে প্রাণ, আড়ং, আকিজের মতো কোম্পানিগুলোর প্রভাব বাড়ছে। এক ক্রেতা বলেন, “আগে লিটারপ্রতি ৩৫ টাকা দিয়ে কিনতাম, এখন ৪৫ টাকা দিতে হচ্ছে, অথচ আমাদের আয় বাড়েনি।”
স্থানীয় বিক্রেতারা জানিয়েছেন, অনেক ক্রেতা কম দুধ কিনছেন বা কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা মাংসের মতো তরল দুধের দাম নির্ধারণে সরকারি হস্তক্ষেপের পরামর্শ দিয়েছেন। বাজারে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হলে ভোক্তারা সাশ্রয়ী মূল্যে দুধ পেতে পারে এবং বাজার স্থিতিশীল থাকবে।
দেশের প্রান্তিক খামারিদের ন্যায্য মূল্য এবং ভোক্তাদের সুরক্ষায় কার্যকর নীতিমালা প্রণয়ন এখন সময়ের দাবি।