Monday, 18 November, 2024

সর্বাধিক পঠিত

ড্রাগন ফল চাষে সফলতা পেয়েছেন সিরাজগঞ্জের কামরুজ্জামান


ড্রাগন ফল

ড্রাগন ফল চাষে সফলতা পাচ্ছেন অনেক তরুন। তাদের মধ্যে একজন কামরুজ্জামান। পৌর শহর উল্লাপাড়ার অন্যতম ঝিকিড়া মহল্লাটি সিরাজগঞ্জ জেলা সদর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে। কামরুজ্জামান এই মহল্লার বাসিন্দা। তার বাড়ির আঙিনা ও ছাদে ড্রাগন ফলের গাছ চাষ করেছেন। এই গাছে লালচে রঙের ড্রাগন ও ফুল ধরেছে। বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১৫০০ গাছ আছে তার শখের বাগানে।

কামরুজ্জামানের সফলতা

সিরাজগঞ্জ জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের পরিসংখ্যান সহকারী হিসেবে কর্মরত কামরুজ্জামান। ইউটিউবে ভিডিও দেখে ড্রাগন চাষের নানা রকম পদ্ধতি শেখেন। কাজের পাশাপাশি তিন বছর আগে শখের বশে অন্যের জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেন। প্রথম বারে ব্যর্থ হন তিনি। এর পর নিজ বাড়ির আঙিনা ও ছাদে এই ফলের চাষ শুরু করেন। বর্তমানে  কামরুজ্জামান উপজেলার সফল ড্রাগন ফলের চাষি।

আরো পড়ুন
দেশীয় পাট বীজ উৎপাদনে চমক দেখালেন কৃষক মুক্তার

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার কৃষক মুক্তার হোসেন মোল্যা দেশীয় পাট বীজ উৎপাদনে উদ্ভাবনী সাফল্য দেখিয়েছেন। সালথা উপজেলা পাট উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত Read more

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে
স্বস্তি নেই সবজির বাজারে

রাজধানীর বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। একদিকে কিছু পণ্যের দাম কমলেও অন্যান্য অনেক পণ্যের দাম স্থিতিশীল Read more

কেবল ফল চাষই করেন তা নয়। পাশাপাশি কামরুজ্জামান গাছ থেকে চারা উৎপাদন করেও বিক্রি করে থাকেন। এতেও তার বছরে লাভ থাকে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা। খুব সম্প্রতি ঝিকিড়া মহল্লায় তাঁর দোতলা বাড়িতে বসে তিনি তার  ফলের চাষ নিয়ে বিস্তারিত ভাবে কথা বলেছেন।

কামরুজ্জামান জানান,  একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রায় তিন বছর আগে প্রথম ড্রাগন ফলের চাষ সম্পর্কে জানতে পারেন তিনি। এরপর বিভিন্ন জাতের চারা সংগ্রহ করতে থাকেন। তারপর সংগৃহিত চারা যত্ন করে চাষাবাদ শুরু করেন। সেই থেকে শুরু হয় তার শখের বাগান। পরের জমিতে যখন প্রথমবার চেষ্টা করেছেন তখন তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন। সবাই মানা করলেও পরে নিজের বাড়ির আঙিনাতেই করেন ড্রাগন ফলের চাষ।  বর্তমানে তাঁর বাড়িই যেন ড্রাগন ফলের একটি উৎকৃষ্ট বাগান। যা আকৃষ্ট করে সকলকে।

কামরুজ্জামান আরও জানান, বাড়ি থেকেই তিনি বিক্রি করছেন তার ফল ও চারা। পাইকারি ও খুচরা দুইভাবেই ফল বিক্রি হচ্ছে। একই সাথে সারা দেশে তার উৎপাদিত বিভিন্ন প্রজাতির উন্নত ড্রাগন চারা বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় বেকার যুবকেরাও তাঁকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারাও আগ্রহী হয়ে এই ফল চাষে ঝুঁকছেন।

উল্লাপাড়া কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন। তিনি জানান  এই ফলের চাষ করে বেকার যুবকদের স্বাবলম্বী হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। স্থানীয় কৃষি বিভাগ ড্রাগন ফলের চাষিদের আরও আগ্রহী করার লক্ষ্যে পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করছে।

0 comments on “ড্রাগন ফল চাষে সফলতা পেয়েছেন সিরাজগঞ্জের কামরুজ্জামান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা