বাংলাদেশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মুরগির ডিমের বাজারে সিন্ডিকেট করে ৫২ দিনে ৯৩২ কোটি টাকা লুটে নেওয়ার অভিযোগটি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (বিএবি) সভাপতি ও কাজী ফার্মস লিমিটেডের পরিচালক কাজী জাহিন হাসান।
সম্প্রতি বিএবির পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয়, গত ১৯ জুন জাতীয় সংসদে আলোচনায় একজন সংসদ সদস্য বাংলাদেশে ডিমের বাজার নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় উল্লেখ করেন, কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মুরগির ডিমের বাজারে সিন্ডিকেট করে ৫২ দিনে ৯৩২ কোটি টাকা লুটে নিয়েছে।
বিএবির সভাপতি কাজী জাহিন হাসান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, দেশে দৈনিক ডিমের গড় চাহিদা প্রায় চার কোটি পিস, যার মাত্র ১৫ শতাংশ উৎপাদন করে আমাদের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো।
বাজারে চাহিদা ও সরবরাহের ভিত্তিতে যেকোনো পণ্যের দাম নির্ধারণ করা হয়। ডিমের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই সিন্ডিকেট করে ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। বক্তব্যে সংসদ সদস্য বলেছেন যে ৫২ দিনে ৯৩২ কোটি টাকা লুট হয়েছে।
কিন্তু তাঁর এই তথ্যসূত্র সম্পূর্ণ ভুল বলে আমরা মনে করি। কারণ সব ডিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান দৈনিক উৎপাদন করে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ ডিম। সে হিসাবে, পাঁচ দিনে উৎপাদন ৩১ কোটি ২০ লাখ। খামার পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের মূল্য ১০ টাকা ধরলেও মোট বিক্রয় মূল্য ৩১২ কোটি টাকা হয়।
৩১২ কোটি টাকা থেকে উৎপাদন খরচ বাদ দিলে পৃথিবীর কোনো গাণিতিক হিসাবে ৯৩২ কোটি টাকা হয় না। তাই ৯৩২ কোটি টাকা লুটে নেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয় বলে প্রতীয়মান হয়। তাই নিশ্চিত করে বলতে চাই, সংসদ সদস্যের এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভুল ও অবাস্তব।