শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় হাতির তান্ডব এর ফলে ক্ষতি হয়েছে। একটি কৃষি প্রকল্প এলাকায় বন্য হাতির দল তাণ্ডব চালিয়েছে। এতে ওই প্রকল্পের তুলা, মাল্টাবাগানসহ আট লাখ টাকার সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ভোরে ঝিনাইগাতী উপজেলায় হাতির তান্ডব চলে। হাতির দল উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের ছোট গজনী এলাকায় মো. মেহেদী হাসানের কৃষি প্রকল্পে ওই ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।
প্রায় পাঁচ একর জমির প্রকল্প নষ্ট করেছে হাতি
এর আগে গত শনিবার ওই প্রকল্পের প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে ঝিনাইগাতী উপজেলার আঠারঝোড়া এলাকা থেকে একটি মরা হাতি উদ্ধার করা হয়।
বন বিভাগ এবং বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তারা মরা হাতিটি উদ্ধার করেছিলেন।
বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি শেরপুর শহরের গৌরীপুর এলাকার তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মেহেদী হাসান।
তিনি ঝিনাইগাতী উপজেলার ছোট গজনী এলাকায় একটি কৃষি প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রায় পাঁচ একর জমিতে স্বদেশী অ্যাগ্রো প্রজেক্ট নামে একটি কৃষি প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করেন এ উদ্যোক্তা।
এ প্রকল্পে মাল্টা ও কার্পাস তুলার বাগান করেছেন তিনি।
২০–২৫টি বন্য হাতি আজ ভোর ৫টার দিকে খাদ্যের সন্ধানে পাহাড় থেকে নেমে লোকালয়ে আসে।
হাতির দল এ সময় স্বদেশী অ্যাগ্রো প্রজেক্টের এলাকায় ঢুকে বিস্তর তাণ্ডব চালায়।
শতাধিক মাল্টা ও তুলার গাছ, একটি দোতলা টিনের ঘরের আসবাব, আটটি সৌর প্যানেল ও ব্যাটারি এবং পানি তোলার পাম্প নষ্ট করে যায় হাতির দল।
সংবাদ পেয়ে বেলা ১১টার দিকে বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দসহ অন্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্বদেশী অ্যাগ্রো প্রকল্পের মালিক মেহেদী হাসান।
তিনি বলেন, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এ উদ্যোক্তা তার প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করেছেন।
হাতির তাণ্ডবে তাঁর প্রকল্পের মোট আট লাখ টাকার সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
প্রকল্পটি চালু রাখতে সরকারের কাছে আর্থিক সহায়তার দাবি জানান এ তরুণ উদ্যোক্তা।
বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দ।
তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষি প্রকল্পের মালিকের কাছ থেকে আবেদন পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রচলিত ও সরকারি নিয়মানুযায়ী ক্ষতিপূরণ বাবদ তাঁকে অর্থসহায়তা দেওয়া হবে।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে বাগান মালিক মেহেদী হাসান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।