আমন ক্ষেতে ছত্রাকের আক্রমণে দিশেহারা কৃষক, মাথায় দিয়েছেন হাত। কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ঘটেছে এমনটি। কৃষকদের ভাষ্যমতে, ছত্রাকের সংক্রমণ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এমনকি বিভিন্ন ওষুধ দিয়েও কাজ হচ্ছে না। সংক্রমিত চারা তুলে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। ছত্রাকের আক্রমণে দিশেহারা কৃষক পড়েছেন বিপাকে।
ধান ক্ষেত এ ছত্রাকের আক্রমন খুব বিপদজনক।
এতে ধান ক্ষেতের পাতা শুকিয়ে ধীরে ধীরে লালচে হয়, পরবর্তীতে ধানগাছ মরে যায়।
আমনের ক্ষেতে ছত্রাকের আক্রমণ
কৃষকরা বলছেন, উপজেলায় আমন ক্ষেতে ব্যাপক ক্ষতি হয় চলতি বছরের বন্যায়।
এরপর বন্যা কেটে যাবার পর ধার-দেনা করে তারা আমন চারা সংগ্রহ করে আবারও রোপণ করেছেন।
কৃষকরা আরও জানান, ক্ষেতের ধানগাছ লালচে বর্ণ হয়ে মরে যাচ্ছে ছত্রাকের আক্রমণে।
উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের গাবেরতল এলাকার কৃষক গোলজার হোসেন।
ছত্রাকের আক্রমণে পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেছে আমন ক্ষেত।
গোলজার হোসেন অবশ্য জানান যে, প্রথম দফা বন্যার পরেই আমন ক্ষেত রোপণ করেন তিনি।
আমনের সেই ক্ষেত দ্বিতীয় দফার বন্যায় নষ্ট হয়ে যায়।
এর পরে সুদের ওপর টাকা নেন।
সেই টাকায় আবার আমন চারা কিনে রোপণ করেন তিনি।
পোকার আক্রমণ দেখা দিলে কৃষি অফিসের পরামর্শে ওষুধ দিয়েছেন তিনি।
কিন্তু ওষুধ দিয়েও লাভ হয়নি।
পরে অন্য ওষুধ প্রয়োগ করেও ঠিক সুফল মেলেনি।
পুরো জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে জানান এ কৃষক।
একই এলাকার কৃষক জয়দুল মিয়া। তিনি বলেন, আমনের ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে হঠাৎ এমন পোকার আক্রমণে।
এবার আবার দেনা করে আবাদ করেছেন।
ফলন আসার আগেই ক্ষেত এ ছত্রাকের আক্রমন হয়েছে।
ছত্রাকের কারণে যদি ক্ষেত মরে যায় তাহলে তিনি কিভাবে সংসার চালাবেন তা নিয়ে শংকায় আছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রণয় বিষাণ দাস।
তিনি বলেন, কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছিল আক্রান্ত জমিতে সপসিন, মিপসিন, ইমিটাফ জাতীয় ওষুধ প্রয়োগের।
কিন্তু তারা সেটা না করে অন্য ওষুধ প্রয়োগ করেন কৃষকরা।
এ কারণেই তার ফল পাওয়া যায়নি।
তাই তারা বর্তমানে কৃষকদের সংক্রমিত চারা তুলে ফেলার জন্য পরামর্শ প্রদান করছেন।
কৃষকদের কোনো ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়।
জানতে চাইলে তিনি জানান যে, এ ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
তারা ভুক্তভোগীদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে জানান।