ওলের লাভজনক চাষ করা যায় সহজেই। ১৩-১৪ গুণ ফলন পাওয়া যায় অনায়াসে সঠিক প্রযুক্তিতে চাষ করলে । মাঘের শেষ থেকে ফাল্গুলে কিছুটা আগাম লাগালে এর মূল্য ভালো পাওয়া যাবে। চাষের জন্য একটু উঁচু জমি ও জল-নিকাশির ব্যবস্থা থাকা দরকার।
কখন চাষের সময়:
উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়া অর্থাৎ খরিফ মরসুমে এর চাষ হয়। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে ওল রোয়া হয়। ভাল সেচের ব্যবস্থা থাকলে অবশ্য ফাল্গুন-চৈত্র মাসেও লাগানো যায়। এই সময়ে লাগালেই ভাল দাম পাওয়া্ যায়।
কিভাবে জমি তৈরি করবেন:
সারাদিন রোদ পড়ে েএবং জল নিকাশি, এমন জমি ওল চাষের জন্য আদর্শ। চাষ ও মই দিয়ে জমির মাটি ঝুরঝুরে এবং সমান করতে হবে। ভাল ভাবে আগাছা পরিষ্কার করে নিতে হবে।
কখন বীজ বপন করবেন:
ক’দিন রোদে ওল গরম করে নিলে অঙ্কুরোগ্দম ভাল হয়। গোটা বীজকন্দ না হলে ৫০০ গ্রাম থেকে এক কেজির মতো মুখীর অংশ সমেত টুকরো টুকরো করে কেটে নিয়ে বসাতে হবে। অবশ্য তার আগে শোধন করা দরকার। মিশ্র ছত্রাকনাশক গুলে বীজকন্দের টুকরো পনেরো মিনিট ডুবিয়ে রেখে ৩-৪ দিন ছায়ায় শুকিয়ে লাগতে হবে। মুখীর দিক উপরে করে গর্তে বসাতে হবে। মাটি উঁচু করে রিং-এর মতো নিকাশির ব্যবস্থা রাখা ভাল।
কি কি সার(Fertilizer) লাগবে:
বীজ লাগানোর দেড় মাস পর সার প্রয়োগ করতে হবে। ৫০ গ্রাম ইউরিয়া ও জৈব সার প্রয়োগ করা ভাল। এর দেড় মাস পরে ৫০ গ্রাম ইউরিয়া, ৫০ গ্রাম পটাশ ও জৈব সার মিশিয়ে জমিতে দিলেই যথেষ্ট।
কিভাবে রোগপোকা ও পরিচর্যা করবেন:
এই ফসলে রোগপোকার আক্রমণ খুব বেশি হয় না। মাঝে মাঝে গোড়া পচা রোগ ধরে গাছ ঢলে যায়। বর্ষার সময় ধ্বসা বা পচার উপদ্রব হয়। সেক্ষেত্রে জমির জলনিকাশি ব্যবস্থার দিকে নজর দিতে হবে। হাল্কা নিড়ান দিয়ে মাঝে শাকজাতীয় কিছু চাষ করা যেতে পারে। বর্ষাকালে গোড়া উঁচু করিয়ে মাটি ধরিয়ে দিতে হবে।
ফসল সংগ্রহ:
লাগানোর ৫-৬ মাসে পাতা হলুদ হয়ে আসবে। এ সময় ওল তোলার উপযুক্ত সময় বলে বিবেচিত। প্রয়োজন মতো কয়েক মাস জমিতে রেখেও তুলতে পারেন ওল। উন্নত জাতের বেলায় প্রতি বিঘায় ৭-৮ কুইন্ট্যাল ওল লাগিয়ে ১৫০-১৭০ কুইন্ট্যাল ফলন পাওয়া সম্ভব।
Shariar Sarkar
September 8, 2021 at 11:40 pmone of my favorite vegetable.
এগ্রোবিডি২৪
September 9, 2021 at 7:59 amধন্যবাদ। আপনি এখন থেকে চাষ করতে আমাদের সহযোগিতা পাবেন।