শীত মানেই বাজারে শাকসবজির সমাহার। এবারও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। বাজারে উঠেছে শীতকালীন আগাম শাকসবজি। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার শাকসবজির দাম একটু বেশি বলছেন ক্রেতারা। যদিও কৃষক ও চাষিরা বলছেন, কিছু কিছু সবজির দাম বেশি। অন্যান্য সবজির দাম কম পাচ্ছেন। এর মধ্যে মুলার কেজি ১৩ এবং বেগুন ১৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন তারা।
দিনাজপুরের কয়েকটি বাজার ঘুরে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, টমেটো, মুলা এবং গাজরসহ হরেক রকম সবজি দেখা গেছে। পাশাপাশি বাজারে রয়েছে লাল শাক, পুঁই শাক, পালং শাক, নাপা শাক, সরিষা শাক, সবুজ শাক ও ডাঁটা শাক।
পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে দাম বেশি
পাইকারি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, পাইকারি বাজারে ফুলকপি এবং বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৮-৫০, শিম ৬৫-৭০, বরবটি ৩৮-৪০, মুলা ১৩-১৫, বেগুন ১৫-১৬, গাজর ১৩০-১৩৫, টমেটো ৯৫-১০০, ঢ্যাঁড়স ২৩-২৫, মিষ্টি কুমড়া ২৫-২৬, লাউ প্রতি পিস ২৫-২৭, করলা ২৩-২৫ টাকা। পাশাপাশি লাল শাক প্রতি আঁটি ৫-৭, পালং শাকের আঁটি ১০-১২ (প্রতি আঁটিতে ৩০০-৪০০ গ্রাম) এবং পুঁই শাক প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮-১০ টাকা।
তবে খুচরা বাজারে দাম আরেকটু বেশি। বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন খুচরা বাজারে ফুলকপি এবং বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৫-৬০, শিম ৭৫-৮০, বরবটি ৪৫-৫০, মুলা ১৫-২০, বেগুন ১৮-২০, গাজর ১৩৫-১৪০, টমেটো ১১৫-১২০, ঢ্যাঁড়স ২৮-৩০, মিষ্টি কুমড়া ৩০-৩২ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৩০-৩২, করলা ২৮-৩০ টাকা। লাল শাক প্রতি আঁটি ৯-১০, পালং শাকের আঁটি ১৫-২০ এবং পুঁইশাক প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮-২০ টাকা।
কৃষক ও চাষিরা জানিয়েছেন, শাকসবজি ক্ষেতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব তেমন পড়েনি। এ বছর রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ কম। সার ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং বাড়তি সেচের কারণে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবার শাকসবজির দাম একটু বেশি। ভালো দাম পাওয়ায় খরচ উঠিয়ে লাভের আশা করছেন তারা।
দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, এবার জেলায় দুই হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে শাকসবজির আবাদ হয়েছে। এখনও আবাদ চলছে। এরই মধ্যে আগাম শাকসবজি বাজারে উঠেছে। তবে দাম বেশি।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) মো. মাহবুবুর রশীদ বলেন, ‘জেলার বাজারগুলোতে শীতকালীন শাকসবজি উঠতে শুরু করেছে। এগুলো আগাম শাকসবজি। এজন্য দাম বেশি। কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছেন। এবার শাকসবজিতে রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ কম হয়েছে। আশা করছি, প্রচুর ফসল উৎপাদন হয়েছে। সামনে আরও দাম কমবে বলে আশা করছি।’