Wednesday, 16 April, 2025

সর্বাধিক পঠিত

নওগাঁয় নিউটন কচু চাষে ঝুঁকছেন কৃষকেরা


নওগাঁর রাণীনগরে নিউটন কচু চাষে ঝুঁকছেন উপজেলার কৃষকরা। অধিক লাভজনক হওয়ায় স্থানীয় চাহিদা পূরন করেও দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান করে অধিক মুনাফা অর্জন করাও সম্ভব।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কৃষকেরা কন্দাল জাতীয় এই কচু চাষে অল্প সময়ে ও কম খরচে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারবেন। এক বিঘা মাটিতে নিউটন কচু থেকে কৃষক প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভ করতে পারবেন। এই ফসলকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সহজে রক্ষা করা যায়।

পুষ্টিমানের দিক থেকে কচুতে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও আয়রনসহ অন্যান্য ভিটামিন। এছাড়াও কচুতে যেহেতু কীটনাশকের ব্যবহার অনেক কম তাই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

আরো পড়ুন
কক্সবাজার উপকূলে ১০ হাজারের বেশি কচ্ছপের বাচ্চা সাগরে অবমুক্ত

চলতি মৌসুমে কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন উপকূলে কচ্ছপের ডিম সংরক্ষণ ও বাচ্চা প্রজননে তৎপরতা বেড়েছে। বনবিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বেসরকারি সংস্থা Read more

হালদা নদীতে মা মাছের আগমন, ডিম আহরণে প্রস্তুতি তুঙ্গে
হালদার মা মাছ

চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে মা মাছের আনাগোনা শুরু হয়েছে। প্রতি বছর চৈত্র মাসের শুরুতে এই নদীতে ডিম Read more

বর্তমানে উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের এই ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করতে চারা সরবরাহ থেকে শুরু করে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। অনেক কৃষকই ইতোমধ্যে নিউটন কচুর বাণিজ্যিক চাষ শুরু করেছেন।

বিশেষ করে কাশিমপুর, গোনা, সদর ইউনিয়নে এই কচু বেশি চাষ হচ্ছে। এই অঞ্চলের কৃষকদের কাছে নতুন ফসল হিসেবে ইতোমধ্যেই সাড়া জাগিয়েছে নিউটন কচু। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বেশি করে কচু খাওয়ার বিকল্প নেই।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, এই কচুর সবকিছুই সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। এক সময় মানুষ রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার আশায় বেশি বেশি করে কচু খেত। কিন্তু সেসব কচুর চেয়ে নিউটন কচু আরো বেশি পুষ্টিগুন সম্পন্ন।

বর্তমানে উপজেলায় প্রায় শতাধিক কৃষক নিউটন কচু চাষ করছেন। প্রায় ৫ হেক্টর জমিতে এই কচু চাষ হচ্ছে। অনেক কৃষক এই কচু চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। আশা রাখি আগামীতে এই কচুর চাষ আরও সম্প্রসারিত হবে।

0 comments on “নওগাঁয় নিউটন কচু চাষে ঝুঁকছেন কৃষকেরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ