২৫ মে চালু হতে যাচ্ছে ‘ম্যাংগো স্পেশাল’ ট্রেন। এবার রাজশাহী থেকে আমের সাথে শাকসবজিসহ অন্যান্য ফলমূলও যাবে ট্রেনে।
সোমবার (১৭ মে) দুপুর ১টায় রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’ বিষয়ক একটি মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
চলতি মৌসুমে ঢাকায় আম পাঠানোর বিষয়ে সভায় রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘গতবারের মতো এবারো রাজশাহী অঞ্চল থেকে ঢাকায় খুব অল্প সময়ে আম পৌঁছে দেয়ার জন্য চলতি মাসের ২৫ মের দিকে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’ চালু হতে যাচ্ছে। এজন্য পাঁচটি ওয়াগনে যাবে রাজশাহী অঞ্চলের আম। প্রতি বগির ক্যারিং ক্যাপাসিটি ৪৩ মেট্রিক টন হলেও আম বহন করা হবে ৩০ মেট্রিক টন।’
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘কাঁচা বা আধাপাকা আম যেন গরম ও অতিরিক্ত চাপে নষ্ট না হয়ে যায় সে কারণে ধারণক্ষমতার কিছু কম পণ্য বহন করা হবে। ট্রেনটি চাঁপাই নবাবগঞ্জ থেকে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ছেড়ে যাবে এবং ঢাকায় রাতে ২টার দিকে পৌঁছাবে।এক্ষেত্রে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ঢাকার বাজারগুলোতে তরজাতা সতেজ আম পৌঁছানো সম্ভব হবে। সড়কপথে যানজট ও উঁচুনিচু জায়গা না থাকায় আমেরও কোনো প্রকার ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।’
‘গতবারের মতো এবারো প্রতি কেজি আমের পরিবহন মূল্য ১টা ১৭ পয়সা ধরা হয়েছে। ক্যারেট প্রতি লেবার খরচ ধরা হয়েছে ১০ টাকা। এটি নির্ধারিত। কোনো শ্রমিক বেশি নিলে বা কেউ অভিযোগ করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবার রেলওয়ের প্রত্যেকটি লেবারকে নির্ধারিত লাল রঙয়ের পোশাকও দেয়া হয়েছে।’
একজন কী পরিমাণ আম রফতানি করতে পারবেন বা কোন কোন এলাকায় কী পরিমাণ আম ব্যবসায়ীরা পাঠাতে পারবেন জানতে চাইলে বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘১৫০ মেট্রিক টন আম যদি কেউ একাই পাঠাতে চান, তাহলে সেটাই আমরা পাঠাবো। আবার কেউ চাইলে ২-৫ মণ আমও ঢাকায় পাঠাতে পারবেন। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো এলাকা ভাগ করা নেই। ওয়াগন ফাঁকা থাকলেই আমরা পণ্য নেব।’
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, গতবছর জুন-জুলাইয়ে মোট ৮৫৭ মেট্রিক টন আম ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনে পাঠানো হয়েছিল। এতে আয় হয় ৯ লাখ ২৯ হাজার ৮৬৯ টাকা। তবে এবার ঢাকা ছাড়াও খুলনা ও চট্টগ্রামের দিকে চাহিদা অনুযায়ী আম পাঠানো হবে। সেক্ষেত্রে ডেডিকেটেড ট্রেনে এসব পণ্য পাঠানো হবে।
রেলওয়ে সূত্র আরও জানায়, এবার শুধু আমই নয়, আমের সঙ্গে শাকসবজি ও অন্যান্য ফল-ফলাদিও এই স্পেশাল ট্রেনে করে পাঠানো হবে। আমের মৌসুম পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে।
সভায় ডেপুটি চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার গৌতম কুমার কুন্ডু, সহকারী চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার শেখ আব্দুল জব্বার, স্টেশন ম্যানেজার মো. আব্দুল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন চালুর বিষয়ে প্রতিটি স্টেশনেই মাইকিং করে প্রচারণা চালাচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ। এর কারণ হলো, এবার প্রতিটি স্টেশন থেকেই আমসহ অন্যান্য ফলমূল ও শাকসবজি ঢাকায় পাঠানো হবে।