পশু পাখির খাদ্য হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে খেরাছী ফসল। বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় ভাল দাম পাচ্ছেন কৃষকরা।
পাইকারি ফরিয়ারা কৃষকদের বাড়ী বাড়ী যাচ্ছেন খেরাছী ক্রয় করতে। কেউ কেউ জমিতে থাকা ফসলই চুক্তিতে ক্রয় করছেন।
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে একসময়ে লোকসানের ভয়ে প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়া খেরাছী এখন কৃষকদের কাছে অত্যন্ত লাভজনক অর্থকরী ফসলে পরিণত হয়েছে।
সারিয়াকান্দি বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ জনান, বর্তমানে আমরা খেরাছী দুই হাজার টাকা হতে তিন হাজার টাকা মণ পর্যন্ত ক্রয় করছি। মৌসুম ছাড়া খেরাছীর বাজার মণে চার টাকার উপরে উঠে যায়। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নেই খেরাছী চাষ হলেও সর্বাধিক বেশি চাষ হয় চরাঞ্চলে।
চরগুলোর মধ্যে চালুয়াবাড়ী, কাজলা, বোহাইল, কর্নীবাড়ী প্রভূতি ইউনিয়নের চরগুলোতে খেরাছীর বাম্পার ফলন লক্ষণীয়। সাধারণত কার্তিক মাসে অপেক্ষাকৃত বেলে দো-আঁশ মাটিতে বীজ ছিটিয়ে বপন করতে হয়। এখন পুরোদমে চলছে ক্ষেত হতে খেরাছী সংগ্রহের কাজ। প্রতি বিঘা জমিতে এর ফলন প্রায় চার হতে পাঁচ মণ হয়।
সারিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের চান্দিনা নোয়ারপাড়া গ্রামের কৃষক লুৎফর রহমান ডাবলু বলেন, আমার আঠার শতক জমিতে খেরাছী থাকতেই পাইকাররা এর দাম বাবদ আমাকে ১৪ হাজার টাকা দিয়েছে। এছাড়াও উক্ত জমি হতে যে খেরাছীর খড় পাব তাও বাজারে উচ্চমূল্যে বিক্রয় করতে পারব।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি বছরে উপজেলার ৫০ হেক্টর জমিতে খেরাছীর বাম্পার ফলন হয়েছে। একদিকে এ ফসল জমিতে বপন করার পর তেমন কোন পরিচর্যা করা লাগে না, ফলে উৎপাদন খরচ খুবই কম।
অপরদিকে বাজারে ভাল দাম থাকায় কৃষকরা ব্যাপকভাবে লাভবান হচ্ছেন। এ কারণে কৃষকরা পতিত জমিতে খেরাছী চাষের দিকে ঝুঁকে পরছেন।