দেশের দক্ষিণের উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠিতে আমন মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে খাদ্য বিভাগ। জেলার চার উপজেলায় কিছু চাল সংগ্রহ হলেও লক্ষ্যমাত্রার ধারে কাছেও যাওয়া সম্ভব হয়নি।
জানা যায়, ধান-চাল সংগ্রহের শেষ তারিখ ছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে খাদ্য অধিদফতর এই সময়সীমা বৃদ্ধি করেছে ১৫ মার্চ পর্যন্ত। খোলা বাজারে ধান চালের দাম বেশি থাকায় এই চার উপজেলার খাদ্য বিভাগকে কৃষকরা ধান দেননি এবং মিলাররাও চাল দেননি বলে খাদ্য বিভাগের সূত্র জানিয়েছে।
ঝালকাঠি জেলা খাদ্য বিভাগ জানিয়েছে, জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা এক হাজার পাঁচ মেট্রিক টন দিয়েছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়। এরমধ্যে সদর উপজেলায় ৩২০, নলছিটি উপজেলায় ২৩৮, রাজাপুর উপজেলায় ৩০১ এবং কাঠালিয়া উপজেলায় ১৯৬ মেট্রিক টন হিসেবে উপজেলা ভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
সরকারিভাবে মূল্য নির্ধারণ করা হয় ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর্দ্রতার প্রতি মণ ধান ১০ হাজার টাকা। বাইরের খোলা বাজারে আর্দ্রতার কোনো ধরনের মাপকাঠি ছাড়াই বিক্রি হয়েছে ১২শ টাকা প্রতি মণ। এজন্য কৃষকরা সরকারি খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করেনি।
অপরদিকে ঝালকাঠি জেলায় সিদ্ধ আমন চালের এক হাজার ১০৫ মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছিল খাদ্য বিভাগ। জেলার নলছিটি উপজেলায় ১০৮৭ ও কাঠালিয়ার আমুয়ায় ১৮ মেট্রিক টন ধার্য করা হয়।
নলছিটির সুগন্ধা রাইসমিল উপজেলা খাদ্য বিভাগের সঙ্গে ৫১% প্রদানের চুক্তিতে ৫৫৫ মেট্রিক টন চাল সরবরাহ করে। কিন্তু কাঠালিয়ার আমুয়ার কোনো মিল চাল সরবরাহের চুক্তি না করায় সরবরাহে ব্যর্থতার পরিচয় দেয় খাদ্য বিভাগ।
জেলা খাদ্যবিভাগ থেকে জানা যায়, খাদ্য বিভাগের নির্ধারণ করা দামের চেয়ে বাজারে চাল ও ধানের দাম বেশি হওয়ায় এবং কৃষকরা ধান বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ তানভীর হোসেনের বক্তব্য নিতে বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) সাড়ে ১১টায় অফিসে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে ফোন দেয়া হলে তিনি তা রিসিভ করেননি