‘জাটকা সংরক্ষণে কঠোর অবস্থানে থাকবে সরকার। গুটিকয়েক বেপরোয়া জেলেদের জন্য এমন অভিযান যেন ভেস্তে যেতে না পারে। তাই জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে যত ধরনের উদ্যোগ এবং ব্যবস্থা নিতে হয়, সবকিছু করতে প্রস্তুত জাটকা সংরক্ষণ টাক্সফোর্স।’
সোমবার (১ মার্চ) সকাল নয়টায় চাঁদপুরের তিন নদীর মোহনা থেকে জাটকা সংরক্ষণের বিশেষ এই অভিযানের প্রথম দিনে এ কথা বলেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দাউদ হোসেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ, নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. হেলালউদ্দিন, কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার লে. আসাদুজ্জমান প্রমূখ।
আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই অভিযান চলবে। পদ্মা ও মেঘনা নদীর বিশাল এলাকাজুড়ে জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে এবং মৎস্যবিভাগের ব্যবস্থাপনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মধ্যরাত থেকে এই অভিযান শুরু করেছে।
এদিকে সরকারি প্রনোদনা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল হওয়ায় ও অভিযান শুরু হওয়ায় প্রান্তিক জেলেদের অনেকেই তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন।
এই বিষয় জেলা মৎস্যজীবী নেতা শাহ আলম মল্লিক জানান, ‘৪০ কেজি নয়, অন্তত ৬০ কেজি হারে প্রতিমাসে চাল দেওয়া হলে জেলেদের জন্য কিছুটা উপকারে আসবে।’
অন্যদিকে, নৌপুলিশ, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এই অভিযান সফল করতে তারা কঠোর অবস্থানে থাকবেন। এতে জাটকা তথা ইলিশের উৎপাদন লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
বিশিষ্ট মৎস্য বিজ্ঞানি ড. আনিছুর রহমান বলেন, ‘চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদী জাটকা বেড়ে উঠার জন্য উপযুক্ত জায়গা। ঠিকমত সংরক্ষণ করা গেলে ইলিশ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই জেলা।’