Thursday, 27 November, 2025

পাট কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা


চলতি মৌসুমে গাইবান্ধায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসায় বন্যার আশঙ্কায় সময়ের আগেই পাট কাটছেন কৃষকেরা।

রোববার (৪ জুলাই) সকালে দেখা যায়, পাট কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া ইউনিয়নের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক খন্দকার জানান, ১৫ দিন পর কাটলে পাটের আঁশ পরিপক্ব হতো। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে পাট ক্ষেতে নদীর পানি প্রবেশ করেছে। কি আর করার বাধ্য হয়ে পাট কাটতে হচ্ছে।

আরো পড়ুন
গ্যাসের দাম বাড়লেও এর সঙ্গে সারের দামের কোনো সম্পর্ক নেইঃ কৃষি উপদেষ্টা

কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আজ (বুধবার) ঘোষণা করেছেন যে, গ্যাসের দাম বাড়লেও এর সঙ্গে সারের Read more

বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ১৭টি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ কীটনাশক এখনো ব্যবহার হচ্ছে
কীটনাশক স্প্রে করা কৃষক

বিশ্বজুড়ে 'অত্যন্ত বিপজ্জনক' হিসেবে চিহ্নিত কমপক্ষে ১৭টি কীটনাশক উপাদান বাংলাদেশে এখনও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, যা দেশের জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশের জন্য Read more

পাটচাষি আব্দুর রাজ্জাক খন্দকার বলেন, ‘রাতভর বৃষ্টি। ঘুম থেকে উঠে দেখি পাট ক্ষেতে পানি উঠেছে। পরে ১০ জন শ্রমিক দিয়ে পাট কাটতে শুরু করি। এই জমিতে গত বছর পাটের অনেক ভালো ফলন হয়েছিল। এখনো পাট কাটার সময় হয়নি। কিন্তু বন্যার শঙ্কায় দ্রুত কাটতে শুরু করেছি।’

সাঘাটা উপজেলা পাট অধিদফতরের উপজেলা কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া বলেন, ‘এ বছর সাঘাটা উপজেলার ২৪০০ কৃষকের মাঝে সার ও পাটের বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। সরকারি সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে আগামীতে কৃষকদের পাট চাষমুখী করতে আরও বেশি কৃষকের মাঝে সার ও বীজ দেয়া হবে।’

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা ঢলে জেলার নদী বেষ্টিত নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হলেও এখনো ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, তিস্তা, করতোয়াসহ সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’

এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মাসুদুর রহমান বলেন, ‘জেলার সব নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এখনো ফসলের কোনো ক্ষতি হয়নি। এ বছর জেলার ৭ উপজেলায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে।’

0 comments on “পাট কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ