ঢাকার মিরপুরে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ট-ব্লকে কৃষকের বাজারের উদ্বোধন করা হয়েছে। যেখানে প্রতি শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে সাভারের বিরুলিয়া থেকে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত নিরাপদ সবজি-ফল এ বাজারে নিয়ে এসে বিক্রি করবেন।
শুক্রবার (১৮ জুন) দুপুরে জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট-এর সম্মিলিত উদ্যোগে কৃষকের বাজারের উদ্বোধন করা হয়।
কৃষকের বাজার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. তাইজুল ইসলাম চৌধুরী (বাপ্পি)।
ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি বিপণন অধিদফতরের সহকারী পরিচালক তৌহিদ মো. রাশেদ খান, কৃষি বিপণন অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. ফজলুর রহমান, জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের ন্যাশনাল প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর জয়নাল আবেদীন, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর পরিচালক গাউস পিয়ারী, জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের সাসটেইনেবল অ্যাগ্রিকালচার স্পেশালিস্ট জাহাঙ্গীর আলম, মো. নজরুল ইসলাম, স্থানীয় জামে মসজিদের সভাপতি ডা. আবুল হোসেন ও সদস্য সচিব বেলায়েত হোসেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবদুর রহিম সর্দার প্রমুখ।
উদ্বোধনকালে বক্তারা বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের যাচাইকৃত নিরাপদ সবজিচাষিরাই এ বাজারে তাদের পণ্য বিক্রি করবেন। এ উদ্যোগের ফলে ভোক্তারা সাশ্রয়ী মূল্যে তাদের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে পারবেন।
তারা বলেন, কৃষকের খেত থেকে সরাসরি আনা টাটকা সবজি খেতে চায় না এমন মানুষ কমই আছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রচুর শাক-সবজি উৎপন্ন হচ্ছে। কৃষকরাও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় জৈব সার ও জৈব বালাইনাশক ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদ সবজি উৎপাদন করছেন। কিন্তু বর্তমান বাজার ব্যবস্থার ফলে তারা সঠিক মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মরিয়ম খাতুন বলেন, আমাদেরর পক্ষ থেকে নিরাপদ সবজিচাষিদের আমরা নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেয়া, জৈব সার ও জৈব বালাইনাশক সরবরাহ করাসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা প্রদান করে থাকি। নিরাপদ সবজি চাষে কৃষকদের কষ্ট এবং ব্যয় উভয়ই কিছুটা বেশি হয় বলে দাম একটু বেশি। কিন্তু এ সবজিগুলো নিরাপদ ও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।