চলতি মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টির না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন দিনাজপুরের আমন চাষিরা। কাঙ্খিত বৃষ্টির অভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে আমন ধানের চারা রোপন। প্রকৃতির এই বৈরী আচরণে শুকনো মওসুমের সেই শ্যালো মেশিনই তাদের ভরসা।
জানা যায়, জুলাই মাসে জেলায় পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হয়নি। বর্ষা মৌসুমে কাঙ্খিত বৃষ্টি না হওয়ায় শ্যালো মেশিন বসিয়ে পানি সেচের মাধ্যমে আমনের চারা রোপন শুরু করেছেন কৃষকেরা। তবে প্রান্তিক চাষিরা এখনও অপেক্ষা করছেন আকাশের বৃষ্টির জন্যে। এতে আমন চাষ পিছিয়ে যেতে পারে অনেকের।
শতগ্রাম ইউনিয়নের পুলহাট গ্রামের মোঃ জিল্লুর রহমান জানান, আমন চারা রোপনে বিঘা প্রতি ১০হাজার টাকায় ৭বিঘা জমি বর্গা নিয়েছি। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় চারা রোপন করা সম্ভব হচ্ছে না। পরে শ্যালো ভাড়া করে নিয়ে এসে পানি সেচ দিয়ে চারা রোপন করতে হয়েছে। এতে করে ধান বীজ, শ্রমিক এবং শ্যালো ভাড়া মিলে খরচ বেড়ে গেছে।
বীরগঞ্জের সুজালপুর ইউপির কোমরপুর গ্রামের প্রমোথ রায় জানান, বৃষ্টি দেখা নেই। তাই বাধ্য হয়ে লোকজন ভাড়া করে জমিতে শ্যালো মেশিন বসাতে হয়েছে। প্রতিদিন মেশিন নিয়ে যাওয়া আর নিয়ে নিয়ে আসায় যেমন ঝামেলা, তেমনি খরচ বেড়ে গেছে। যদি আবহাওয়া না বদলায়, যদি প্রয়োজনীয় বৃষ্টি না হয়, তাহলে নানামুখী সমস্যায় পড়বে আমন চাষ। আর এতে ক্ষতিগ্রস্থ হবে কৃষক।
বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবুরেজা মো. আসাদুজ্জামান জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে আকাশে বৃষ্টির দেখা নেই। কৃষিতে এর প্রভাব পড়েছে। তবে বৃষ্টি শুরু হলে এ সমস্যা কেটে যাবে। আমরা মাঠে গিয়ে এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের করণীয় বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করছি।
উল্লেখ্য, দিনাজপুরে চলতি আমন মৌসুমে ২ লাখ ৫৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমন রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জুলাই থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত আমন রোপণের সময়। এখনই আমন রোপণের উপযুক্ত সময় চলছে।