চাঁপাইনবাবগঞ্জে গোপালভোগ, খিরসাপাত, ল্যাংড়া, ফজলি, সুরমা ফজলি, আশ্বিনাসহ ১০০টি জাতের আম নিয়ে গবেষণাবিষয়ক দুই খণ্ডের একটি বই প্রকাশ করা হয়েছে।
বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন স্থানীয় সরকার চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপ-পরিচালক এ. কে. এম তাজকির-উজ-জামান।
শনিবার (১৯ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় স্থানীয় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস বিফ্রিংয়ের মাধ্যমে বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
এ. কে. এম তাজকির-উজ-জামান জানান, আমকে কেন্দ্র করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার অর্থনীতি পরিচালিত হয়ে আসছে। জেলার অনেক মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আম চাষ ও বিপণনের সঙ্গে জড়িত। আমের ঐতিহ্যকে বজায় রাখার জন্য আম চাষের পাশাপাশি আমের তথ্যাদি সংরক্ষণ জরুরি। আর বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, জেলায় ৩৫০ থেকে ৮৫০ প্রজাতির আমের জাত রয়েছে। কিন্ত প্রকৃতপক্ষে ৪ থেকে ৫টি আমের জাত ছাড়া বাকি জাতগুলো সেভাবে সম্প্রসারিত হয়নি। কিন্তু চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের ঐতিহ্যকে বজায় রাখার জন্য আম চাষের পাশাপাশি আমের তথ্যাদি সংরক্ষণ করা অতীব জরুরি।
তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম জিআই সনদ পেয়েছে। এর পাশাপাশি জেলা প্রশাসন আম নিয়ে নানাবিধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। এসব কর্মকাণ্ডকে একত্রিত করে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ দেশের মধ্যে প্রচলিত আমের ১০০ টি জাত নিয়ে ‘আমের ১০০ জাত’ নামক বই প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
বইটিতে গোপালভোগ, খিরসাপাত, ল্যাংড়া, ফজলি, সুরমাই ফজলি, আশ্বিনা ইত্যাদি প্রচলিত জাত ছাড়াও দেওভোগ, গোলা, মালদহ গুটি, মিশ্রি দাগি, শ্যামলতা, মিশ্রিকান্ত ইত্যাদি অপ্রচলিত জাতের আমের বিস্তারিত তথ্য বইটিতে স্থান পেয়েছে।