হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে ঘাস চাষে সফলতার কথা শুনেছি। এবার বিদেশি ফল সাম্মাম চাষ করে সফলতার খবর। এই সাম্মাম ফল এর আরেক নাম রক মেলন।
ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নে হাইড্রোপনিক পদ্ধতির মাধ্যমে বানিজ্যিক ভিত্তিতে, সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে চাষ হচ্ছে অর্গানিক রক মেলন।
উদ্যোক্তা মো. আল আমিন দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির ছাদে সীমিত পরিসরে এই পদ্ধতিতে টমেটো ও লেটুস পাতা চাষ করে আসছিলেন।
এ বছর তিনি মাঠ পর্যায়ে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে রক মেলন, টমেটো, চেরি টমেটো ও লেটুস পাতার বানিজ্যিক উৎপাদনের দিকে অগ্রসর হয়েছেন।
এবিষয়ে উদ্যোক্তা মো. আল আমিনের সাথে কথা বলে জানা যায়- তার দীর্ঘদিনের শখ হাইড্রোপনিক ফার্ম করার। বাড়ির ছাদে সীমিত পরিসরে এই পদ্ধতিতে উৎপাদন করলেও মাঠ পর্যায়ে তা বিস্তৃত করতে সাহস হচ্ছিলো না।
সদর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার জনাব ইমরুল কায়েস এর সাথে যোগাযোগ করে বেশকিছু পরামর্শ পেয়েছিলাম এবং উদ্ভুদ্ধ হয়েছিলাম বলে জানান তিনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার জনাব ইমরুল কায়েস জানান, হাইড্রোপনিক হচ্ছে একটি অত্যাধুনিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক প্রযুক্তি যেখানে মাটি ছাড়াই উচ্চমূল্যের সম্পূর্ণ নিরাপদ ফসল উৎপাদন করা যায়। এখানে প্রাথমিক খরচ একটু বেশি হলেও পরবর্তীতে অনেক বেশি লাভবান হওয়া যায়।
জনাব ইমরুল কায়েস বলেন, হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত পণ্যের ফলন, বাজারে চাহিদা ও দাম অনেক বেশি।
উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব কৃষ্ণ রায় জানান, হাইড্রোপনিক পদ্ধতির চাষাবাদে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ নেই বললেই চলে। এতে করে সম্পূর্ণ নিরাপদ ফসল উৎপাদন করা সম্ভব।
ঠাকুরগাঁও জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জনাব আবতাফ হোসেন বলেন, আমার জানামতে এটাই ঠাকুরগাঁও জেলার প্রথম বানিজ্যিক হাইড্রোপনিক ফার্ম। দেশে জনসংখ্যার আধিক্যের ফলে দিনদিন আবাদি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে।
জনাব আবতাফ হোসেন আর ও বলেন আমরা নিরলসভাবে চেষ্টা করছি কিভাবে এই স্বল্প জমিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে জনগণের জন্য নিরাপদ ও অধিক ফলন ফলানো যায়; হাইড্রোপনিক পদ্ধতি তার একটি উদাহরণ মাত্র।
উদ্যোক্তা মো. আল আমিন এর মতে হাইড্রোপনিক একটি লাভজনক পদ্ধতি প্রয়োজন শুধু কারিগরি সহযোগিতা।
জুয়েল
July 26, 2020 at 8:10 pmআপনাদের মতো কৃষি অফিসাররা আছেন বলেই কৃষির এতো সমৃদ্ধি।