গোল আকারের বেগুন কিনতে হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০-১০০ টাকায়। লম্বা বেগুনের দাম একটু কম। ঝিঙা, ধুন্দল ও চিচিঙ্গার মতো সবজির কেজি ৬০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। সস্তার সবজি বলতে শুধু পেঁপে, কেজি ৩০-৪০ টাকা।
পটোল ও ঢেঁড়সের দামও প্রতি কেজি ৫০ টাকার ওপরে। কাঁচা মরিচের কেজি পড়ছে ২০০-২২০ টাকা। এই পণ্যেগুলোর দাম কোনোভাবেই নাগালের ভেতরে আনা যাচ্ছে না। প্রতিদিনই দাম বেড়ে নতুন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করছে।
ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে সাময়িকভাবে কমলেও দু’-এক দিনের ব্যবধানে আবারো বেড়ে যাচ্ছে। বাড়তি দামের কারণে অসহায় হয়ে পড়েছেন স্বল্প আয়ের ক্রেতারা।
কয়েক দিনের ব্যবধানে রসুনের দামও কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মাস দেড়েক আগেও রসুনের কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে ছিল। সেটা বাড়তে বাড়তে ২৫০ টাকায় এসেছে।
গত দুই থেকে তিন দিনের ব্যবধানেই আমদানি করা রসুনের কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৫০ টাকায়। দেশি রসুন কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা।
পাইকারিতে দাম বাড়ায় খুচরায়ও বেড়েছে। পেঁয়াজ, রসুনের মতো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে আদা। কেজিতে ১০ টাকার মতো বেড়ে ইন্দোনেশিয়ার আদা ২৫০ থেকে ২৬০ এবং মিয়ানমারের আদা ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দাম কমার পর প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৪ টাকায়। খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার ১৫৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা চিনি প্রতি কেজি ১৩০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির কেজি ১৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু বাজারে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় খোলা চিনি পাওয়া গেলেও প্যাকেটজাত চিনি পাওয়া যাচ্ছে না।
স্বস্তি নেই সবজির বাজারে
বাজারে পটল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ১০০ টাকা, গোল বেগুন প্রতি কেজি ৮০ টাকা আর লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকা, আলু প্রতি কেজি ৪৫ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ১০০ টাকা, কাঁচাকলার প্রতি হালি ৪০ টাকা, ঝিঙ্গা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, জলি প্রতি পিস ৬০ টাকা,
কঁচুর লতি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ঢেঁড়সপ্রতি কেজি ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ২০০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ২২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া বাজারে বিভিন্ন শাকের দামও বেড়ে গেছে। প্রতি আঁটি লাল, মুলা, কলমি শাক ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্য দিকে পুঁই, মিষ্টি কুমড়া, লাউ শাকের আঁটি ৩০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।