সাতক্ষীরায় আম সংগ্রহ শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপে বাগান থেকে পরিপক্ব আম সংগ্রহ করে বাজারজাত করা হবে। গত বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসন আম পাড়ার অনুমতি দেয়। জেলার প্রতিটি আমবাগান থেকে প্রথম পর্যায়ে গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, বোম্বাই, গোলাপখাস ও বৈশাখীসহ কয়েকটি প্রজাতির আম পাড়ার অনুমতি দেয়া হয়। সাতক্ষীরায় আম সংগ্রহ শুরু হবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জেলা প্রশাসন সূত্র।
আম সংগ্রহ করার পরেই হচ্ছে বাজারজাত
আমবাগান থেকে আম সংগ্রহের পর পরই আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন পাইকারি বাজারে বাজারজাত করছেন।
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ হুমায়ন কবির।
তিনি বলেন, পরবর্তী ধাপে পর্যায়ক্রমে ১৬ মে আম সংগ্রহ ও বাজারজাত করা হবে।
তখন হিমসাগর জাতের আম সংগ্রহ ও বাজার জাত হবে।
এছাড়া ২৪ মে ল্যাংড়া ও ১ জুন তারিখে আম্রপালি আম সংগ্রহ ও বাজারজাত করা যাবে।
তিনি সতর্ক করেন নির্ধারিত সময়ের আগে আম পাড়া যাবে না।
যদি কোনো ব্যবসায়ী বা চাষি অপরিপক্ব আম পেড়ে বাজারজাত করেন, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এ বছর ৬০০ মেট্রিক টন আম বিদেশে রপ্তানি করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
কেবল সাতক্ষীরা থেকে ১০০ মেট্রিক টন আম বিদেশ যাবে।
এই নিরাপদ আম রপ্তানির কাজে নিয়োজিত চাষিদের স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা বছরজুড়ে নানা প্রশিক্ষণ দেন।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ভৌগলিক কারণে দেশের অন্য বিভিন্ন জেলার আগেই সাতক্ষীরা জেলার আম পেকে যায়।
সেকারণে ফলপ্রেমীদের কাছে মৌসুমের প্রথমে সাতক্ষীরার এ সুস্বাদু আম জনপ্রিয়।
প্রতিবছর ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সাতক্ষীরা জেলার এ আম রপ্তানি হয়।
লাবসার আমচাষি মাহমুদ হাসান।
তিনি বলেন, এ বছর আম গাছে গুটি আসার পরপরই শিলাবৃষ্টি হয়।
এতে ঝড়ে যায় অনেক মুকুল, ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশ কিছু গাছ।
তাই আশানুরূপ আমের ফলন হয়নি তার বাগানে।
তবে প্রথমে আম বাজারজাত করতে পারলে মূল্য বেশি পাওয়া যাবে বলে তিনি মনে করেন।
সাতক্ষীরা খামারবাড়ির উপপরিচালক নূরল আমিন।
তিনি বলেন, কয়েকটি প্রজাতির আমের বেলায় নিষেধাজ্ঞা আছে।
এছাড়া অন্যান্য আম পাড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন হিমসাগর, ন্যাংড়া ও আম্রপালি আম সংগ্রহের দিনও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যে।