Tuesday, 05 November, 2024

সর্বাধিক পঠিত

সাগর কলার জন্য খ্যাত মুন্সিগঞ্জে অবিক্রিত কলা


মুন্সিগঞ্জ জেলার রামপাল সাগর কলার  জন্য খ্যাত এটা  সারাদেশে প্রায় সবাই জানে। কিন্তু সময়ের বিবর্তন রামপালের সুখ্যাতি ছড়ানো সেই কলা এখন আর নজরে পরে না। রামপালের এই বিখ্যাত কলা কেন্দ্র করে মুন্সিগঞ্জ জেলার হাটলক্ষ্মীগঞ্জ এলাকায় একসময় গড়ে উঠে বিভিন্ন আড়ত। সেইসব আড়ত এখনো থাকলেও দেখা নেই রামপালের বিখ্যাত কলা।

অন্যদিকে কোভিড বিধিনিষেধ ও বৃষ্টির কারনে পাইকার আসার পরিমান কমেছে কলার আড়তগুলোতে।  যদিও পর্যাপ্ত কলার মজুদ আছে কিতু আড়তদাররা সেরকমভাবে কলা বিক্রি করতে পারছেন না। সারি সারি করে রাখা এত কলা অবিক্রিত থাকার কারনে লোকসানের দুশ্চিন্তা করছেন অনেকে।

আরো পড়ুন
ডিমের দাম কমেছে, পুরোপুরি স্থিতিশীল হতে সময় লাগবে: ভোক্তার ডিজি
মহাপরিচালক আলীম আখতার খান

বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়ার ফলে ডিমের দাম কিছুটা কমেছে, তবে পুরোপুরি যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছে Read more

দেশের ৯টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল

দেশের ৯টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। এই দিন সারাদেশে একযোগে আটটি মূল কেন্দ্র Read more

শহরের হাটলক্ষ্মীগঞ্জ এলাকায় গেলে দেখা যায়,  বিভিন্ন জাতের কাঁচা-পাকা কলা যেমন সবরি, সাগর, চাপাসহ বিভিন্ন কলা নিয়ে  আড়তদাররা বসে আসেন। কিন্তু ক্রেতাদের উপস্থিতি তেমন নেই। কিছু আড়তে পাইকার ও খুচরা বিক্রেতারা দর-দাম করছেন। কিন্তু বেশিরভাগ আড়তেই  পাকা কলা অবিক্রিত রয়েছে।

আড়তদারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, হাটলক্ষ্মীগঞ্জ এলাকায় ১২- ১৫টি আড়তে কলা বিক্রয় হয়। এগুলো ছারাও সদর উপজেলার আলদী, মুক্তারপুর,  টঙ্গীবাড়ীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে কলার আড়ত বিদ্যমান।  কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালীন সব জায়গা একই চিত্র দেখা গেছে।

কঠোর বিধিনিষেধ ও বৃষ্টিতে কলার বাজারে বিক্রয় খুব কমে গেছে। মুন্সিগঞ্জের আড়ত থেকে পাশের লঞ্চঘাট ও লঞ্চে প্রচুর পরিমাণ কলা বিক্রি হতো । কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালীন লঞ্চ বন্ধ থাকায় কলা বিক্রি করা যায়নি সেখানেও।

একজন বিক্রেতা জানান, সবরি কলা কিনে এনেছেন ৪০০ থেকে ৪৫০ দরে। যার প্রতি হালি পরে ১৫-১৬ টাকা দরে। এক ছড়ার হিসেবে লাভ মাত্র ১০-১৫ টাকা। ক্রেতা কম থাকায় টুকটাক বিক্রি হয়। কিন্তু আগের চেয়ে বিক্রি কমেছে, লাভও কমে গেছে।

আরেক আড়তদার জানান, লকডাউন না থাকলে প্রতিদিন সকালে কমপক্ষে এক-দেড়শো ছড়া কলা বিক্রি হয়ে যায়। সেই তুলনায় ৫০ ছড়া বিক্রি করতেই হিমশিম খেতে হয়। আগে মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটে আর লঞ্চেও বিক্রির করার জন্য খুচরা বিক্রেতারা কলা কিনে নিতো। লঞ্চ বন্ধ থাকার কারনে তাই তারাও আসতে পারেনি।

অন্য আরেক জন আড়তদার জানান, ৩৫ থেকে ৪০বছর যাবত তিনি  কাঁচামালের ব্যবসা করে আসছেন। কখনো লাভ বা কখনো লোকসান দেখেন। কিন্তু এবার দীর্ঘদিন যাবত কলা বিক্রিতে পোষাতে পারছেন না।

0 comments on “সাগর কলার জন্য খ্যাত মুন্সিগঞ্জে অবিক্রিত কলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *