বর্তমান যুগ প্রযুক্তির উৎকর্ষতার যুগ। তাতে পিছিয়ে নেই কৃষিক্ষেত্রও। বর্তমানে বীজ বপন, চারা রোপণ থেকে শুরু করে ধান কেটে গোলায় সবই হবে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে করা যায়। এতে শ্রমিক নির্ভরতার পাশাপাশি চাষির ব্যয় কমে যাবে। এই পদ্ধতির নাম সমালয়। বর্তমানে ধীরে ধীরে সমালয় পদ্ধতি জনপ্রিয় হচ্ছে দেশের সব জায়গায়। বর্তমানে সমালয় পদ্ধতি জনপ্রিয় হচ্ছে ও ব্যবহৃত হচ্ছে কুমিল্লা জেলায়।
কুমিল্লা জেলায় সমালয় পদ্ধতিতে চাষ হচ্ছে
চলতি বছর কুমিল্লার মুরাদনগর, দাউদকান্দি ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় এ পদ্ধতিতে চাষ করা হচ্ছে।
প্রায় ১৫০ একর জমিতে সমালয় পদ্ধতিতে ধানের চারা রোপন করা হচ্ছে।
ট্রেতে করে বীজ বপন ও ট্রান্সপ্ল্যান্টারের সাহায্যে ইতিমধ্যেই চারা রোপণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
যন্ত্রের সাহায্যধান পাকলে তা কেটে কৃষকের গোলায় তোলা হবে।
কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, সমালয় পদ্ধতিতে ফসল কাটা পর্যন্ত সব কাজ একযোগে করা হবে।
প্রযুক্তির সাহায্যে অল্প মানুষ নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি জমির অপচয় কমে যাবে।
এ পদ্ধতিতে প্লাস্টিকের ফ্রেম বা ট্রেতে ধানের বীজ লাগানো হবে।
২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যেই চারা বের হলে, ট্রেগুলো রাইস ট্রান্সপ্ল্যাটারে দিয়ে ধানের চারা রোপণ করা হবে।
এক ঘণ্টায় একটি ট্রান্সপ্ল্যান্টার এক একর জমিতে চারা লাগাতে পারে।
এতে শ্রমিকের খরচ কমার পাশাপাশি চারা একই গভীরতায় সমানভাবে লাগানো যায়।
নির্দিষ্ট এলাকায় একই সময় রোপণ করায় সব ধান পাকেও একই সময়।
আবার একই সঙ্গে মেশিন দিয়ে সব ধান কাটা ও মাড়াই করা সম্ভব হবে।
কুমিল্লায় সমালয় উদ্বোধন করেন সাবেক রেলমন্ত্রী
সাবেক রেলমন্ত্রী ও কুমিল্লা-১১ আসনের সংসদ সদস্য মুজিবুল হক মুজিব রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ উদ্ধোধন করেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী জানান, কৃষকদেরকে প্রযুক্তির আওতায় আনতেসরকার প্রতিনিয়ত কাজ করছে।
এতে কৃষকের ব্যয় ও সময় বাঁচিয়ে অর্থনৈতিকভাবে কৃষক লাভবান হবে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সামছুল ইসলাম হাদি।
তিনি বলেন, একর প্রতি একজন কৃষকের মজুরি ব্যয় অন্তত ১০ হাজার টাকা কমবে।
প্রতি একর জমিতে আগে কৃষি শ্রমিকের মজুরি ছিল ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা।
কিন্তু সমালয় পদ্ধতিতে ৩-৪ হাজার টাকা ব্যয় হবে।
কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, এখন কৃষিশ্রমিক পর্যাপ্ত নেই বিধায় সমালয় জনপ্রিয় হচ্ছে কুমিল্লায়।
প্রচলিত পদ্ধতিতে সময় বেশি লাগে, জমির অপচয় হয়।
বর্তমান পরিস্থিতিতে তাই সমালয় পদ্ধতি খুব উপকারী।