রাজশাহীতে পেঁয়াজের চাষ বেড়েছে রেকর্ড পরিমানে। যার ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে, বাজারে দাম কমেছে। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা যায় গত পাঁচ বছরে জেলায় প্রায় ১ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমিতে করে পেঁয়াজের চাষ বেড়ে গেছে। এতে করে উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজশাহীতে পেঁয়াজের চাষ বেড়েছে বিধায় ফলন ভালো হয়েছে। তাই এবার পেঁয়াজে লাভের মুখ দেখেছেন চাষিরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৯-২০ সালে পেঁয়াজের চাষ হয় ১৬ হাজার ৭৯১ হেক্টর জমিতে।
উৎপাদন হয় ২,৮২,৭৯৯ মেট্রিক টন।
২০২০-২১ সালের দিকে পেঁয়াজের আবাদ বৃদ্ধি পায় প্রচুর পরিমানে।
প্রায় ১৪৯৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ বেড়ে যায়।
জেলায় পেঁয়াজের চাষ হয় মোট ১৮ হাজার ২৮৬ হেক্টর জমিতে।
২০-২১ সালে উৎপাদন হয় ৩ লাখ ২৬ হাজার ১৩৯ মেট্রিক টন।
২০২১-২২ সালে পেঁয়াজের আবাদ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
এমনটাই জানিয়েছেন রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
কৃষি দপ্তর জানায় প্রায় ১৮ হাজার ৮৮১ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে এবার।
পেঁয়াজের সাম্ভাব্য উৎপাদন প্রায় ৩ লাখ মেট্রিক টন ধরা হয়েছে।
কৃষি দপ্তর আরও জানায় মাঠে এখনো পেঁয়াজের পর্যাপ্ত চাষ চলছে।
পেঁয়াজের এবছরের উৎপাদন আগের রেকর্ড অতিক্রম করতে পারে এমনটাই ধারণা করছে অধিদপ্তর।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ হিল কাফি।
পেঁয়াজের আবাদ বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, দেশে কিছুদিন আগেই পেঁয়াজের ঘাটতি ছিল।
যার কারণে আকাশচুম্বি দাম বেড়ে গিয়েছিল।
সে হিসেবে বিগত দিনের তুলনায় পেঁয়াজের চাষ ব্যাপক হারে বেড়েছে এ অঞ্চলে।
অন্যদিকে, সরকার পেঁয়াজ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে।
সেই লক্ষ্যে গত দুবছর ধরে সরকার তরফ থেকে তাদের প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে।
এছাড়াও কৃষকদের বারি-৫ প্রজাতির পেঁয়াজ চাষ করছেন।
এই ধরনের পেয়াজ মূলত গ্রীষ্মকালে আবাদ হয়।
এসব কারণে পেঁয়াজের আবাদ ও উৎপাদন তুলনামূলক অনেকগুণ বেড়েছে বলে মনে করেন এ কর্মকর্তা।
তিনি আরও জানান, সরকারের প্রণোদনার পাশাপাশি পেঁয়াজ চাষিদের কৃষিতে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করছেন তারা।
যার ফলশ্রুতিতে বর্তমানে পেঁয়াজ উৎপাদনে বাংলাদেশ তার অবস্থান এগিয়েছে।
বর্তমানে তৃতীয় অবস্থানে আসতে সক্ষম হয়েছে আমাদের দেশ।
তবে পেঁয়াজের আবাদযোগ্য জমি বাড়ানো যেহেতু সম্ভব না। তাই সেটা না বাড়িয়ে তারা বারি-৫ জাতের পেঁয়াজ চাষে কৃষকদের বেশি উৎসাহিত করছেন।
কারণ এ জাতের পেঁয়াজ চাষে খরচ কম হয়।
পাশাপাশি এটি শুষ্ক মৌসুমেও দারুণ চাষ হয়।