মাছ চাষে আরগুলাস নামক এক ধরনের বহিঃপরজীবির দ্বারা মাছ আক্রান্ত হলে আমরা একে মাছের উকুন হয়েছে বলে থাকি।
সব ধরনের বায়োফ্লক, একুয়ারিয়াম এবং পুকুরে মাছ চাষে এই আরগুলাস নামক পরজীবির আক্রমন হতে পারে।
একুয়ারিয়ামে মাছের উকুন বেশি দেখা দিলে ও পুকুরের মাছ চাষে আরগুলাস যথেষ্ট ক্ষতির কারন হিসাবে গননা করা যায়।
অনেক সময় আরগুলাস বা উকুনের আক্রমন হলেও আমরা ব্যাকটেরেয়াকে দোষ দিয়ে এন্টিবায়োটিক চালিয়ে দেই।
উকুনের আক্রমনে মাছের উৎপাদন হার কমানো এবং খাবার নষ্ট হওয়া, অনেক ধরনের বিপদে চাষিদের পড়তে দেখা যায়।
আজকের আলোচনার বিষয় মাছ চাষের বায়োফ্লকে, একুয়ারিয়ামে এবং পুকুরে উকুনের সমস্যা এবং সমাধানের উপায় নিয়ে।
মাছ চাষে উকুন কি ?
লেখার শুরুতেই আলোচনা হয়েছে আরগুলাস নামক এক ধরনের বহিঃপরজীবির দ্বারা মাছ আক্রান্ত হলে মাছের উকুন বলা হয়।
কখন মাছের উকুন বেশি দেখা যায় ?
মাছের উকুন মার্চ থেকে আগষ্ট মাসে বেশি প্রভাব বিস্তার করে।
মাছের উকুন হলে কি লক্ষণ দেখা যায় ?
রুই কাতলা সহ প্রায় সব কার্প মাছের এ রোগ দেখা যায়। ছবিতে উকুনের শক্ত পা দিয়ে মাছের গায়ে লেগে
আরগুলাস নামক বহিঃপরজীবী দ্বারা মাছ আক্রান্ত হয়। মাছের দেহের রক্ত চুষে ক্ষত সৃষ্টি করে। দেহ পৃষ্ঠ ও পাখনায় উকুন লেগে থাকে।
শক্ত কিছু পেলে মাছ দেহ ঘষে। মাছ লাফালাফি করে। দেহ থেকে রক্তক্ষরণ হয়। পরজীবী খালি চোখে দেখা যায়। মাছ ক্লান্তহীনভাবে সাঁতার কাটে। আক্রান্ত স্থানের চারপাশ লালচে বর্ণ হয়।
মাছের উকুন রোগে করনীয় কি ?
আরগুলাস প্রতিরোধের উপায় হিসাবে নিচের কাজ গুলো করতে হবে-
পুকুর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।
প্রতি শতাংশে ১ কেজি হারে চুন দেয়া।
জৈবসার প্রয়োগ কমিয়ে দেয়া।
আক্রান্ত মাছ পুকুর থেকে সরানো।
আরগুলাস প্রতিকারে করনীয়
ডিপটারেক্স (ডাইলকস, নেগুভন, টেগুভন) ০.৫ পিপিএম হারে পুকুরে প্রয়োগ করা।
সপ্তাহে একবার ও পরপর ৫ বার অথবা ০.৮ পিপিএম হারে সুমিথিয়ন প্রয়োগ করা।
প্রতি সপ্তাহে একবার ও পরপর ৫ বার অথবা ০.২৫ পিপিএম পটাশ দ্রবণে ৫-৬ মিনিট গোসল করাতে হবে।
শাকিল
October 12, 2023 at 1:04 pmমাছে উকুন হয়েছে।।।।এখন কি লবন আর পটাশ মিক্স করে দিতে পারবো???
এগ্রোবিডি২৪
October 15, 2023 at 6:48 pmদিতে পারবেন। সুমিথিয়ন অথবা সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের উকুন নাশক দুই ডোজে ব্যবহার করেন।
joy
August 28, 2022 at 7:23 pmপুকুরে গলদা চিংড়ি থাকলে করনীয় কি উকুনের ঔষাধে গলদার কোন ক্ষতি হবে কি?
এগ্রোবিডি২৪
August 30, 2022 at 7:58 pmপুকুরে চিংড়ি মাছ থাকলে উকুন মারার ঔষধ প্রয়োগ করা যাবে না। সেক্ষেত্রে কাচা গবর ব্যবহার করা যাবে। এবং নিয়মিত কম পিপিএম এ লবন প্রয়োগ করতে হবে।
Nurul Haque
October 19, 2020 at 2:52 pmThank you for the nice informative written.
রতন
September 28, 2020 at 1:31 pmমাছের ও উকুন হয়! জানা ছিলোনা 🙂 ধন্যবাদ