বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে তিন ট্রাকে করে ১ হাজার ৪৮০ বস্তায় ৭৪.০১ মেট্রিক টন আলু ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। আলুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি হলো ইন্ট্রিগ্রেটেড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ।
আলু আমদানির খবরে বেনাপোলসহ স্থানীয় বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে। কেজিতে কমেছে ৫ টাকা। কেজিপ্রতি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৫ টাকায়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ৭৭টি আবেদনের বিপরীতে প্রায় ৫০ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। গত ৩০ অক্টোবর সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কোনোক্রমেই আলুর কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকার বেশি হতে পারে না। ৭০ থেকে ৮০ টাকা আলুর কেজি হবে কেন? আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছি।
প্রতি টন আলু ১৮০ মার্কিন ডলারে শুল্কায়ন করা হচ্ছে। সে হিসাবে প্রতি টন আলুর শুল্ক ৬ হাজার ৬৮৯ টাকা ৫০ পয়সা। সে মোতাবেক প্রতি কেজি আলুতে শুল্ক দিতে হচ্ছে ৬ টাকা ৭০ পয়সা।
আলু কেনা, এলসি খরচ ও শুল্কসহ প্রতি কেজি আলুতে আমদানিকারকের খরচ পড়ছে প্রায় ২৯ টাকা। ফলে বাজারে ৩০ থেকে ৩২ টাকায় সরবরাহ করা সম্ভব। ফলে দেশের বাজারে আলুর দাম অনেক কমে আসবে।