কুকুর পালতে চাইলে তাদের সঠিক যত্ন, খাবার, স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও প্রশিক্ষণের দিকে মনোযোগ দেওয়া জরুরি। পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে কুকুরের কামড়ের পরে বেশ কয়েকটি ইনজেকশন দেওয়া যেতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন, টিটেনাস শট এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধে অ্যান্টিবায়োটিক। নিচে বিস্তারিতভাবে কুকুর পালনের পদ্ধতি দেওয়া হলো—
১. কুকুর নির্বাচন
আপনার লাইফস্টাইল ও বাসস্থানের সঙ্গে মানানসই কুকুর নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ।
বয়স নির্বাচন: ছোট বাচ্চা (পপি) হলে প্রশিক্ষণ সহজ হয়।
২. বাসস্থান ও নিরাপত্তা
পর্যাপ্ত জায়গা রাখা: কুকুরের জন্য আরামদায়ক ঘর বা কুঁড়ে তৈরি করুন।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা: কুকুর যাতে বাইরে চলে না যায় বা ক্ষতি না হয়, সে জন্য গেট বা বেড়া ব্যবহার করুন।
৩. খাবারের ব্যবস্থা
কুকুরের বয়স, ওজন ও জাত অনুযায়ী খাবার দেওয়া উচিত।
প্রাপ্তবয়স্ক কুকুরের খাবার: মাংস, চাল, শাকসবজি, শুকনো খাবার (ডগ ফুড)
পপি বা ছোট কুকুরের খাবার: দুধ, নরম খাবার, ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার
নিষিদ্ধ খাবার: চকলেট, কফি, কাঁচা মাছ, মশলাযুক্ত খাবার
৪. স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা
নিয়মিত গোসল: মাসে ১-২ বার কুকুরের জন্য উপযুক্ত শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করান।
টিকা প্রদান: জলাতঙ্ক, ডিস্টেম্পার, প্যারভো ভাইরাস ইত্যাদি প্রতিরোধে টিকা দিন।
পরজীবী নিয়ন্ত্রণ: ফ্লি ও টিক অপসারণের জন্য মেডিসিন ব্যবহার করুন।
নিয়মিত চিকিৎসা: বছরে অন্তত একবার ভেটেরিনারির পরামর্শ নিন।
৫. প্রশিক্ষণ ও সামাজিকরণ
মৌলিক কমান্ড শেখানো: “বসো”, “আসো”, “থামো” ইত্যাদি।
টয়লেট ট্রেনিং: নির্দিষ্ট জায়গায় প্রশিক্ষণ দিন।
সামাজিকরণ: অন্যান্য কুকুর ও মানুষের সঙ্গে মিশতে শেখান।
৬. ব্যায়াম ও খেলাধুলা
প্রতিদিন হাঁটাহাঁটি: কুকুরের সুস্বাস্থ্য ও মানসিক প্রশান্তির জন্য ৩০-৬০ মিনিট হাঁটানো উচিত।
খেলনা ও গেম: বল, চিউ টয়, ইন্টারঅ্যাকটিভ গেম দিন।
৭. ভালোবাসা ও বন্ধন গড়া
কুকুরকে সময় দিন ও আদর করুন। তাদের প্রতি ধৈর্য ধরুন ও ইতিবাচক প্রশিক্ষণ দিন। চিৎকার বা শাস্তি দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
এই নিয়মগুলো মেনে চললে আপনার পোষা কুকুর সুস্থ ও সুখী থাকবে! আপনার কোনো নির্দিষ্ট প্রশ্ন থাকলে জানাতে পারেন!
আপনার পোষা প্রানীকে নিয়মিত ভাক্সিন দিন। এবং যেকোন প্রয়োজনে পশু ডাক্তারের সহযোগিতা ও পরামর্শ নিন।