চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় নকল সার মজুত ও বিক্রির অপরাধে এক ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। নয়ন আহম্মেদ (৪০) নামের ঐ ব্যবসায়ীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রোববার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ তাঁকে এই জরিমানা করেন।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের দত্তাইল গ্রাম।
এই গ্রামের মেসার্স নয়ন ট্রেডার্সের মালিক নয়ন আহম্মেদ।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে সার ও কীটনাশকের ব্যবসা করে আসছেন।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল নকল সার ও কীটনাশক বিক্রির।
বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ চলছিল স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে।
শনিবার রাতে নয়ন আহম্মেদ কয়েকটি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত যানে করে আলমসাধু যান।
সেখান থেকে বিএডিসির বস্তাভর্তি টিএসপি সারের বড় একটি চালান গ্রামে নিয়ে আসেন।
এরপর সেগুলো ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির বাড়ির গোয়ালঘরে মজুত করেন।
কয়েকজন কৃষকের সারের এই চালান ও মজুত নিয়ে সন্দেহ হয়।
এর মধ্যে শনিবার রাতেই একজন কৃষক জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে বিষয়টি ফোন করে জানান।
ওই ফোন পেয়ে উপপরিদর্শক (এসআই) তায়েফুজ্জামানের নেতৃত্বে সরোজগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা দত্তাইল গ্রামে পৌছান।
তারা নয়ন আহম্মেদের বাড়িতে অভিযান চালান।
এ সময় তাঁরা ৭৩ বস্তা নকল সার জব্দ করা হয়।
নয়ন আহম্মেদকে আটক করে সেই রাতেই থানায় নিয়ে আসেন তারা।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক পরীক্ষা করে নিশ্চিত করেন ওই সব বস্তায় নকল সার রয়েছে।
রোববার সকালে পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি সদর উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাসরুর ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ পরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভুইয়ার সঙ্গে পরামর্শ করে সরোজগঞ্জে যান।
সেখানে যাওয়ার পর নকল সার মজুত ও বিক্রির অপরাধে ব্যবসায়ী নয়ন আহম্মেদকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
পরে নয়ন আহম্মেদকে পুলিশ ছেড়ে দেয়।
এ বিষয়ে সার ব্যবসায়ী নয়ন আহম্মেদ জানান, বিএডিসির বস্তায় টিএসপি সার হিসেবে যে সারগুলো জব্দ করা হয় তা নকল।
তিনি এগুলো ঝিনাইদহের শৈলকুপা এলাকার নাজমুল হকের কাছ থেকে কিনে এনেছেন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ। তিনি বলেন, নয়ন আহম্মেদ সচেতনভাবে নকল সার বিক্রি করতেন। এভাবে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন।