গেল মৌসুমে ধানের দাম কম থাকায় এবার লোকসানের শঙ্কা নিয়ে রোপা আমন চাষ করছেন জয়পুরহাটের কৃষকরা। সার, বিদ্যুৎ ও ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবার ধান উৎপাদনে বিঘাপ্রতি ৪-৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। সে অনুপাতে আগামী মৌসুমে ধানের দাম বাড়ানোর দাবি কৃষকদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভরা বর্ষা মৌসুমে আবাদের চাহিদা মতো বৃষ্টি না হওয়ায় এবার আমন চাষে জমিতে পানির জন্য জয়পুরহাটের চাষিদের পুরোপুরি সেচযন্ত্রের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এতে বিদ্যুৎ ও ডিজেলচালিত সেচযন্ত্রের পেছনে আমন চাষে অতিরিক্ত টাকাও গুনতে হচ্ছে কৃষকদের।
সার, বীজ, কীটনাশক ও শ্রমিক বাবদও গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। ফলে গত বছরের তুলনায় এবার বিঘাপ্রতি ব্যয় বেড়েছে ৪-৫ হাজার টাকা। তবুও কৃষকরা শঙ্কা নিয়েই তাদের জমিতে আমন চারা রোপণ করে যাচ্ছেন। আমন ধান বর্ষা মৌসুমের প্রধান ফসল। এ ফসলে প্রচুর পানির প্রয়োজন।
আমন চাষের মূল সময়ও জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে মধ্য আগস্ট পর্যন্ত। ভরা বর্ষার সময়েই আমন ধান রোপণ হয়ে থাকে। কিন্তু এবার ভরা বর্ষায়ও শুষ্ক আবওহাওয়া। এর বিরূপ প্রভাব সরাসরি গিয়ে পড়েছে কৃষকদের জীবিকায়। একটু সময় পার হলেই এ ফসল থেকে সঠিক উৎপাদনের সম্ভাবনাও থাকে না বলে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা।
কৃষকের মতে যে হারে সেচ ও অন্যন্য খরচ বেড়েছে সে হারে ধানের দাম বাড়ছে না। কিভাবে চাষাবাদ সম্ভব।