দ্বিতীয় বৃহত্তম কলার হাট কাহারোল
চাষি ও স্থানীয় কলা ব্যবসায়ীরা খুব ভোরবেলা থেকে ভ্যানে করে কলা আনতে শুরু করেন । এই হাটে স্থানীয়ভাবে দেড় শতাধিক কলা ব্যবসায়ী আছেন । ব্যাপারীদের সঙ্গে চলে দর-কষাকষি ও কেনাবেচা শেষে ট্রাকে কলা তোলা হয়। এই সকল কাজ সকাল ১০টার মধ্যে শেষ হয়ে যায়।
কলার হাটে গিয়ে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায় কলার চাষি-ব্যবসায়ী ও পাইকারদের। সারি সারি সাজানো কলার কাঁদি। প্রতিটি কলার কাঁদি ৪০০-৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়। তবে এবার কাঁদিপ্রতি কলার দাম বেড়েছে ১০০ টাকা করে।
কলার নায্য দাম পেয়ে কৃষকেরাও খুশি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এর সাথে কথা বলে জানা যায় জেলায় কলার আবাদ হচ্ছে প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে। বগুড়ায় উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় কলার হাট। কিন্তু সেখানে চম্পা কলার পরিমণে পাওয়া যায় বেশি। কিন্তু দিনাজপুরের সাগর কলা ঘ্রাণে ও স্বাদে অনন্য। এই অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে এবং মৌসুমের শুরুতে চাহিদা বেশি থাকার কারণে দাম কিছুটা বেশি। কলা চাষে খরচ, ঝুঁকি ও রোগবালাই খুব কম। এ কারণে কলা চাষ খুব জনপ্রিয় হয়েছে। উপ-পরিচালক এর মতে, আমের মতো করে কলাও বিশেষ কার্বন ব্যাগ দিয়ে ঢেকে বড় করার প্রক্রিয়া চলছে। এটি করা সম্ভব হলে সম্পূর্ণ কীটনাশক ও দূষণমুক্ত কলা উৎপাদন করা সম্ভব হবে।