বাংলাদেশ যে টমেটো চাষ হয় তা দেখতে সবুজ কিন্তু পাকলে লাল হয়। কিন্তু দেশে এক ব্যবসায়ীর সখের বাগানের গাছে গাছে ঝুলছে আমেরিকায় অর্নামেন্ট ফ্রুটস নামে পরিচিত বিরল প্রজাতির কালো রঙের (ব্ল্যাক বিউটি) টম্যাটো।
ব্ল্যাক বিউটি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ফলনও বেশ ভালো হয়। তবে টম্যাটোর রঙ সবুজ বা লাল নয়, একদম কালো। পেকে গেলে এই টম্যাটোর রং আরো কালো হয়ে যায়। গায়ের রং কালো হলেও এর ভেতরটা একদম টকটকে লাল। ঐ ব্যবসায়ীর নাম আহমেদ জামিল সেলিম, তিনি কুমিল্লা নগরীর ঠাকুরপাড়া বাগানবাড়ী এলাকার বাসিন্দা।
আহমেদ জামিল সেলিম তার বাড়ির আঙিনায় নানা জাতের ফুল-ফল ও সবজির বাগান করেছেন। তার বাগানে এখন কালো টম্যাটোর ৬০টি গাছ আছে। গাছগুলোতে এখন ছোট ও মাঝারি আকারের টম্যাটো ঝুলছে।
সেলিম জানান, তার ছোট ভাইয়ের মাধ্যমে গত বছর আমেরিকার সাউথ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্য থেকে দেশে কালো টম্যাটোর বীজ এনেছেন। পরে তিনি একটি বীজতলা তৈরি করেন। তবে সে সময় শুধু একটি চারা অঙ্কুরোদগম হয়।
বড় হলে সেই গাছ থেকেই অনেক বীজ পাওয়া যায়। এ বছর তার বাগানে এই ৬০টি গাছ থেকে তিনি অন্তত ৪০০ কেজি টম্যাটো পাবেন। দেশি টম্যাটোর মতোই চাষ করা যায়, খরচও খুব বেশি হয় না।
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) কুমিল্লার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান বলেন, কৃষি বিভাগ এখন সেসব ফসল নিয়েই কাজ করছে যেগুলোর পুষ্টিমান প্রচলিত কৃষি ফসলের চেয়ে বেশি।
গবেষণা চলছে কালো টম্যাটো নিয়েও। এর পুষ্টিমান যদি দেশীয় টম্যাটোর চেয়ে বেশি হয় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই এই কালো টম্যাটো নিয়েও কাজ করা যাবে।