দেশে চাষ উপযোগী ফসল এর চাষ বাড়াতে হবে। বিশেষ করে ফলের জাত দেশেই বেশি করে উদ্ভাবন করে আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে। বিজ্ঞানী ও গবেষকদের এমনটাই নির্দেশনা দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি জোর দিয়ে বলেন দেশে চাষ উপযোগী ফসল এর চাষ এর পরিমাণ বাড়াতে হবে।
এডিপি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা আয়েজিত হয়েছে
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত একটি সভায় একথা বলেন মন্ত্রী। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন সংক্রান্ত অগ্রগতি পর্যালোচনা উপলক্ষে আয়োজিত এ সভায় মন্ত্রী এই কথা বলেন।
এ তথ্য জানানো হয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
কৃষিমন্ত্রী তার আলোচনায় বলেন, ফসলের জাতের ক্ষেত্রে বিদেশ নির্ভরতা কমাতে হবে।
আমাদের দেশের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনতে হবে।
দেশের চাষোপযোগী ফসলের জাত দেশের বিজ্ঞানীদেরকেই উদ্ভাবন করতে হবে বলে জানান মন্ত্রী।
বিশেষ করে ফলের জাত উদ্ভাবনে বিজ্ঞানী-গবেষকদের আরও জোর দেবার কথা তিনি বলেন।
তার মতে বিজ্ঞানী-গবেষকদের সক্রিয় হতে হবে, কাজ করতে হবে নিবিড়ভাবে।
জনগণকে জানাতে হবে তাদের ব্যয় কীভাবে হয়
কৃষি মন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক প্রকল্প পরিচালকদের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকারি টাকা হলো জনগণের টাকা।
প্রতিটি প্রকল্প জনগণের অর্থে পরিচালিত হয়ে থাকে।
তাই প্রতিটি অর্থ অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে ব্যয় করতে হবে।
জনগণকে জানাতে হবে তাদের টাকা কোথায় কীভাবে কী কাজে ব্যয় হচ্ছে।
দেশের জনগণ এর জানার এবং বোঝার অধিকার আছে যে তাদের অর্থ দিয়ে কী কাজ হয়েছে, কতটুকু কাজ হয়েছে।
আব্দুর রাজ্জাক আরও জানান যে, প্রতি বছর আমাদের দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়ছে।
অন্যদিকে ক্রমাগত হারে জনসংখ্যা বাড়ার কারণে খাদ্যের চাহিদাও বাড়ছে ক্রমেই।
তাই জনসংখ্যা ও খাদ্য চাহিদা বৃদ্ধির সাথে তাল মিলিয়ে খাদ্য উৎপাদন ধরে রাখলেই হবে না, সাথে তা আরও বাড়াতে হবে।
নতুন উদ্ভাবিত উচ্চ উৎপাদনশীল জাতগুলোকে সে লক্ষ্যে দ্রুত নিয়ে যেতে হবে কৃষকের কাছে।
সব সংস্থাকে সমন্বিতভাবে আরও জোরালো তৎপরতা চালাতে হবে বলে তিনি জানান।
কৃষি মন্ত্রনালয়ের বাস্তবায়নাধীন ৭০টি প্রকল্প
সভায় একটি সংক্ষিপ্ত পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়। সেখানে বলা হয় চলমান ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭০টি প্রকল্প কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
সকল প্রকল্পের মোট বরাদ্দ দুই হাজার ৯১৮ কোটি টাকা।
গত নভেম্বর পর্যন্ত ২৪ শতাংশ বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে।
এটি জাতীয় গড় অগ্রগতির চেয়ে তুলনামূলক ৫ শতাংশ বেশি হয়।
এসময়ে জাতীয় গড় অগ্রগতির পরিমাণ ১৮.৬০ শতাংশ।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম সভা সঞ্চালনা করেন।
তিনি জানান, প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনোভাবেই পিছিয়ে থাকা যাবে না।
প্রকল্প বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়ের বিগত বছরের সাফল্য এ বছরও ধরে রাখতে হবে বলে জ্যেষ্ঠ সচিব জানান।
গুণগতমান বজায় রেখে সে কারণেই যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুর রৌফ, কমলারঞ্জন দাশ, হাসানুজ্জামান কল্লোল, ওয়াহিদা আক্তার, বলাই কৃষ্ণ হাজরা, আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধান ও প্রকল্প পরিচালকরা।