তুলার পাশাপাশি সাথী ফসলে কৃষকদের আরো লাভবান করতে হবে। সাথী ফসল হিসেবে ধান, পেঁয়াজ, হলুদসহ অনেক ফসল উৎপাদন করা যায়। সাথী ফসল উৎপাদন করলে দুদিকে লাভবান হওয়া সম্ভব।
রবিবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়ি তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ প্যান্ডেমিক অবস্থায় তুলা উৎপাদন কর্মকৌশল শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন কৃষি সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম।
তিনি আরও বলেন, দেশে খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত না করে বরেন্দ্র এলাকায়, চরাঞ্চলে, লবণাক্ত এলাকায় ও পাহাড়ের ঢাল ও ভ্যালিতে তুলা উৎপাদন বৃদ্ধির পদক্ষেপ নেয়া হলে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ২০ লক্ষ বেল তুলা উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. ফরিদ উদ্দিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাশ ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল এর নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার।
অনুষ্ঠানে তুলা উৎপাদন কর্মকৌশল সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনাসহ স্বাগত বক্তব্য দেন তুলা উন্নয়ন বোর্ডর উপপরিচালক ড. মো. তাসদিকুর রহমান। কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থার প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, দেশের বিভিন্ন স্থানে তুলার সাথে সাথী ফসল চাষ করে কৃষকেরা ইতিমধ্যে লাভবান হচ্ছেন। এ প্রযুক্তিটি সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারলে আরও ভালো ফল মিলবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, তুলা চাষ এমনিতেই লাভজনক। তার সাথে যদি স্বল্প মেয়াদী বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করা যায় তাহলে তুলা চাষে আরও বেশি আগ্রহ বাড়বে।