Tuesday, 05 November, 2024

সর্বাধিক পঠিত

টবে বেল জাতীয় ফুল চাষ সম্পর্কে জেনে নিন সবিস্তারে


বেল জাতীয় ফুল সুগন্ধি ফুলের মধ্যে অন্যতম। এই জাতীয় ফুলের কদর সুমিষ্ট গন্ধের জন্য খুব বেশি। বেলি ফুল ফোটে ফাল্গুন থেকে শুরু করে জ্যৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত। মূলত সন্ধ্যায় ফোটে এবং পরদিন দুপুরে ঝরে যায় বেলি ফুল। খুব সহজে টবে বেল জাতীয় ফুল চাষ করা যায়। চলুন জেনে নেয়া যাক টবে বেল জাতীয় ফুল চাষ এর বিস্তারিত।

বিভিন্ন রকম বেল ফুলের জাত

বেল ফুলের ৪টি প্রজাতি রয়েছে –

আরো পড়ুন
ডিমের দাম কমেছে, পুরোপুরি স্থিতিশীল হতে সময় লাগবে: ভোক্তার ডিজি
মহাপরিচালক আলীম আখতার খান

বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়ার ফলে ডিমের দাম কিছুটা কমেছে, তবে পুরোপুরি যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছে Read more

দেশের ৯টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল

দেশের ৯টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। এই দিন সারাদেশে একযোগে আটটি মূল কেন্দ্র Read more

১. রাইবেল– এর পাপড়ি সুসজ্জিত, ফুল খুব ছোট ছোট ও তীব্র গন্ধযুক্ত।

২. খয়েবেল– ছোট তীব্র সুগন্ধযুক্ত ফুল হয়।

৩. মতিয়াবেল- ফুলের আকার বড় হয়, এরা অসংখ্য পাপড়ি ও সুগন্ধযুক্ত।

৪. ভরিয়াচেলী– এটাকে রাজবেলও বলা হয়। এর ফুল বড়, গড়ন ও গন্ধযুক্ত মনোমুগ্ধকর।

জমি প্রস্তুত প্রণালি

১. মোল্ডবোর্ড লাঙ্গল বা কুদাল দ্বারা প্রাথমিক কর্ষণ করতে হবে। এর পর দেশী লাঙ্গল দ্বারা লম্বা ও আড়াআড়িভাবে ২ থেকে ৩ বার কর্ষণ করে মই দিয়ে জমি সমতল করতে হবে।

২. তারপর গর্ত করতে হবে। গর্তের সারি হতে সারির দুরত্ব ৯০ সেঃ মিঃ। গাছ হতে গাছের দূরত্ব ৬০ সেঃ মিঃ। প্রতিটি ৪৫× ৪৫×৩০ সেঃ মিঃ আকারের গর্ত খনন করতে হবে।

৩. প্রতি গর্তে ১০-১৫ কেজি গোবর সার ও এক কেজি কাঠের ছাই প্রয়োগ করে মাটির সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর গর্ত ভরাট করে দিতে হবে।

চারা রোপণ কখন ও কিভাবে

সাধারণতঃ চারা রোপণ করা হয় জুলাই মাসে।

বংশ বিস্তারের জন্য ব্যবহৃত হয় কাটিং বা শাখা-কলম, দাবা-কলম (দুটি) অথবা মাতৃ উদ্ভিদ হতে শিকড়সহ পৃথক চারা।

প্রতিটি গর্তে এই চারা ৮-১০ সেঃ মিঃ গভীরতায় সোজাভাবে রোপণ করতে হবে।

কিভাবে পরিচর্যা করবেন

বর্ষাকালে জলসেচ এর বিশেষ প্রয়োজন নেই।

শুধু মাঝে মাঝে কুপিয়ে মাটি আলগা করে দিতে হবে এবং আগাছা পরিষ্কার করে দিতে হবে।

নিয়মিত সেচ দিতে হবে শীতকালে ও গ্রীষ্মকালে।

বেল গাছে দেখা যায় মাকড় এবং পত্রভুক পোকার উপদ্রব।

তাই কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে।

গাছ ছাঁটাইকরণ

ফুল উৎপাদন নির্ভর করে গাছ ছাঁটাইয়ের উপর।

গাছ ছাঁটাই করতে হবে জানুয়ারী মাসের মাঝামাঝি। এর ১৫ দিন আগে হতে জমিতে জলসেচ বন্ধ করতে হবে ।

ছাঁটাইয়ের এক সপ্তাহ পরে প্রতিটি গাছে সার প্রয়োগ করে সেচ দিতে হবে।

সার প্রয়োগ

বেল গাছের বর্ধনশীল নরম কান্ড ও শাখায় পুষ্প মুকুল আসে।

তাই তাদের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য যথেষ্ট সার প্রয়োগ করতে হয়।

জানুয়ারী মাসে একবার ও জুলাই মাসে একবার গাছ ছাটাই এর পর সার প্রয়োগ করতে হয়।

গাছের চারিধারে অগভীর মাদা তৈরি করে এই সার প্রয়োগ করে মাটি চাপা দিতে হবে।

জলসেচ

ফুলের বড় কুঁড়ি উৎপাদনের জন্য নিয়মিত পানি সেচ দিতে হবে।

বেল ফুলের চাষ করার জন্য জানুয়ারী মাসে সার প্রয়োগের পর হতে প্রতি ৪ দিন অন্তর সেচ প্রয়োগ করতে হবে।

এতে বড় বড় কুঁড়ি হয় এবং ফুলের উৎপাদনও বেশী হয়।

ফুল সংগ্রহ

তেল নিষ্কাশনের জন্য ফুলের পাপড়ি থেকে সদ্য ফোটা ফুল কারখানায় পাঠানো হয়।

সাধারণত বসন্তকালের শুরু হতে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারী মাসের মাঝামাঝি সময় হতে বিভিন্ন জাতের বেল গাছে ফুল ফোটে।

এরপর বর্ষার প্রারম্ভ পর্যন্ত ফুল ফোটা চলতে থাকে।

0 comments on “টবে বেল জাতীয় ফুল চাষ সম্পর্কে জেনে নিন সবিস্তারে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *