
প্রাকৃতিক জলাশয়ে অবাদে মাছ আহরন, অপরিকল্পিত মাছ আহরন, অপরিকল্পিত মা মাছ আহরনের ফলে প্রাকৃতিক জলাশয়ে আজ মাছ শুন্য।গ্রাম বাংলার মানুষের প্রোটিন চাহিদা পূরন করতে জলাশ্বয়ে মাছ চাষের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
চলমান পরিস্থিতিতে যেখানে অনেক ক্ষেত্রেই মানুষের মানবতাহীনতার কথা শোনা যাচ্ছে, সেখানে মানবতার জয়গানও হচ্ছে প্রচুর। দেশের মানুষ একই সাথে এও প্রমাণ করছে যে এদেশের মানুষ সবসময় একে অন্যের পাশে থাকে, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। যার কারণে চিকিৎসক, পুলিশ, ব্যাংকার, প্রশাসন সহ সকল পেশার মানুষ নিজের নিজের কাজের মাধ্যমে ক্রমাগত সেবা করে যাচ্ছে। পাশাপাশি মানুষ যৌথ ও ব্যাক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্ন ত্রাণ-তহবিল ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছে।
সেই জনস্বার্থের কথা চিন্তা করে এক অন্যরকম উদ্যোগ নিয়েছে মাদারীপুর জেলার কালকিনি পৌর এলাকার মানুষ। এ এলাকার অর্ধশতাধিক কৃষক এলাকার জুরগাঁ বিলে প্রায় ৫ লাখ টাকার মাছের পোনা অবমুক্ত করেছেন। এ সকল পোনার মধ্যে রয়েছে রুই-কাতলা সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। এর ফলে শিকার মঙ্গলসহ অনেক গ্রামের মানুষ তাদের আমিষের চাহিদা মেটাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তারা। তাদের মতে এ উদ্যোগের ফলে প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ উপকৃত হবে। কৃষকরা আরও জানান যে, মাছ বড় হবার সাথে সাথে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ অবমুক্তকরণ করা হয়।
বর্তমানে বিলের চারপাশে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সাথে এলাকার সকল জনসাধারণ কে অবহিত ও সতর্ক করা হয়েছে যেন কোন ভাবেই কেউ পোনা শিকার করতে না পারেন। যথাসময়ে সকলকেই মাছ ধরার সুযোগ করে দেয়া হবে।
প্রাকৃতিক জলাশয়ে অবাদে মাছ ধরা এবং সে অনুসারে মাছের মজুদ না করা আমাদের জলাশ্বয় থেকে মাছ আজ শুন্যের কোঠায়। ছোট এবং মা মাছ অবাদে ধরা বন্ধ করলে সবাই প্রাকৃতিক জলাশ্বয় থেকে মাছ আহরন করতে পারবে। সে জন্য আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াশ জানান একজন কৃষক ।
কৃষকরা বলেন, আমরা সবাই মিলে সকলের জন্য সকলের স্বার্থে জুরগাঁ বিলে মাছের পোনা ছেড়েছি। যাতে করে করোনার সংকটের সময়ে মানুষ বিনামূল্যে মাছ খেয়ে বাচতে পারেন। অনেকেই বাজারে গিয়ে মাছ কিনে খেতে পারেন না। তাই আমরা সবাই মিলে প্রায় ৫ লাখ টাকার মাছ বিলে ছেড়েছি। যা বড় হলে ধরে খাওয়ায় কোন বাধা নিষেধ থাকবে না।
পরিত্যক্ত জলাশয়ে মাছ চাষ করলে দেশের মানুষের প্রোটিন চাহিদা বিশেষ করে নিম্ন বিত্ত মানুষের প্রোটিন চাহিদা পূরন হবে।