দেশজুড়ে খুচরা বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকার চলতি মাসে ৩.৯২ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, ৯২টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এই অনুমোদন পেয়েছে, যার মধ্যে ২.৭৩ লাখ টন সিদ্ধ চাল এবং ১.১৯ লাখ টন সিদ্ধ ছাড়া ‘আতপ’ চাল রয়েছে।
আমদানির সিদ্ধান্ত
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সংগ্রহ ও সরবরাহ) এম হাবিবুর রহমান হোসাইনি জানিয়েছেন, আমন ফসল তোলার আগে ঘাটতি মেটাতে দ্রুত এই চাল আমদানির আদেশ দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি আমদানিকারকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই চাল ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে খুচরা বাজারে সরবরাহ করতে হবে।
সরাসরি বাজারে বিক্রির নির্দেশ
সরকারি আদেশ অনুসারে, আমদানিকারকদের চাল পুনরায় প্যাকেজিং না করে সরাসরি বস্তাবন্দি অবস্থায় বাজারে সরবরাহ করতে হবে।
চাল আমদানির প্রভাব
চাল আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিরোদ বরণ সাহা বলেছেন, সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাজারে চালের দাম কমাবে এবং নতুন কাটা ধানের দামে প্রভাব ফেলবে। বর্তমানে প্রতি কেজি ধানের দাম ৩৬ থেকে ৩৬.৫০ টাকার মধ্যে রয়েছে।
পূর্ববর্তী অনুমোদন
এর আগে, খাদ্য মন্ত্রণালয় ১৮৫টি বেসরকারি কোম্পানিকে ১০.৮৯ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছিল। এর মধ্যে ৭.৯২ লাখ টন ছিল সিদ্ধ চাল এবং ২.৯৭ লাখ টন সিদ্ধ ছাড়া ‘আতপ’ চাল। আমদানিকারকদের ওই চাল ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে বিক্রি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
সরকারি খাদ্য সঞ্চয়
সরকারি খাতে বুধবার পর্যন্ত খাদ্য সঞ্চয়ের পরিমাণ ছিল ১০ লাখ ৮৮ হাজার ৩৫১ টন। এর মধ্যে ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৭২৮ টন চাল, ৪ লাখ ২১ হাজার ১৭১ টন গম এবং ৬৮১ টন ধান।
চালের আমদানি এবং সরবরাহ বৃদ্ধির এই উদ্যোগের ফলে বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল থাকার পাশাপাশি নতুন ধানের মৌসুমে কৃষকদের উৎপাদিত ধান বিক্রিতে কী প্রভাব পড়বে তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা পর্যবেক্ষণ করছেন।