Saturday, 18 October, 2025

ক্যাপসিকাম চাষে লাভবান কৃষক


ভোলার চরাঞ্চলে বাড়ছে বিদেশি সবজি ক্যাপসিকাম চাষ। কম খরচে অধিক লাভ হওযায় এ সবজি চাষে ভাগ্য পরিবর্তন হচ্ছে চাষিদের।

জানা গেছে, ভোলার সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নে মেঘনা নদীর বুকে জেগে উঠা মাঝের চর ও দৌলতখান উপজেলার চর মদনপুর ইউনিয়নের চর মদনপুরে প্রায় ৭ থেকে ৮ বছর আগে মনির পাঠান নামে এক কৃষক পরীক্ষামূলকভাবে বিদেশি সবজি ক্যাপসিকাম চাষ শুরু করে।

প্রথম বছর সফলতা পেয়ে পরবর্তী বছর বাণিজ্যিকভাবে বিদেশি এ সবজির চাষ শুরু করেন। গত ৩ বছরে এ সবজির চাষ ও চাষির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৪ গুণ। বর্তমানে ভোলার সদরের মাঝের চর ও দৌলতখানের চর মদনপুরে প্রায় ১৫০ একর জমিতে প্রায় ৩০০ জন চাষি ক্যাপসিকাম চাষ করছেন।

আরো পড়ুন
কৃষিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI): ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
কৃষিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI): ভবিষ্যতের সম্ভাবনা

কৃষিপ্রধান বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং কৃষকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন একটি প্রধান চ্যালেঞ্জ। জলবায়ু পরিবর্তন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং আবাদি Read more

১ লাখ ৩০ হাজার টন সার কিনছে সরকার, মোট ব্যয় ৭২২ কোটি টাকা
এক লাখ ৩০ হাজার টন সার কিনবে সরকার

সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে রাষ্ট্রীয় চুক্তিতে কানাডা, মরক্কো এবং উন্মুক্ত পদ্ধতির মাধ্যমে সৌদি আরব ও কাফকো Read more

সরকারিভাবে ক্যাপসিকাম চাষে প্রশিক্ষণ ও সহায়তা পেয়ে ভোলার চরাঞ্চলে এ সবজি চাষের বিপ্লব ঘটানো সম্ভব বলে দাবি করছেন চাষিরা। অন্যদিকে রপ্তানীতেও সুবিধা চান তারা।

ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের মাঝের চরের ক্যাপসিকাম চাষি মো. তছির ফরাজী জানান, গত ৫ বছর ধরে এ চরে তিনি ক্যাপসিকাম চাষ করছেন। এবছরও তিনি ১ একর জমিতে চাষ করেন। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ টাকা। খেতে প্রচুর ফলন হয়েছে।

যা গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ ফলন হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি করেছেন আর খেতে যে পরিমাণ ফলন আছে তাকে আরো ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবেন। তিনি আরো জানান, গত বছর খেতে কিছুটা পোকা-মাকড়ের আক্রমণ থাকলেও এবছর সময় মত কিটনাশক ব্যবহার করায় পোকার আক্রমণ নেই।

১নং চর মদনপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. আলাউদ্দিন জানান, চর মদনপুর ও কাচিয়ার মাঝের চরে বর্তমানে ১০০ কানি (১৬০ একর) জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ হচ্ছে। কিন্তু সরকারিভাবে কোনো প্রশিক্ষণ বা সহায়তা পাই না। যদি সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ ও সহায়তা পাই তাহলে আগামীতে আমরা দুই চরে ৫০০ কানি (৮০০ একর) জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করব। ভোলার চরাঞ্চলে ক্যাপসিকামের বিপ্লব ঘটনাতে পারবো।

ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহ জানান, ভোলা জেলায় গত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ১৫ হেক্টর, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৩৭ হেক্টর এবং ২০২০-২১ অর্থ বছরে অনেক বেড়ে হয়েছে ৭০ হেক্টর। অথাৎ গত তিন বছরের পরিসংখানে বোঝা যায় লাভজনক এ সবজি চাষ ভোলায় দিন দিনই বাড়ছে।

তিনি আরো জানান, ক্যাপসিকাম বীজ বপনের তিন মাসের মধ্যে বিক্রির উপযোগী হয়। আমরা আগামীতে ভোলা জেলায় ক্যাপসিকাম চাষ বাড়াতে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন ধরণের সহায়তা প্রদান করব। আশা করছি আগামী বছর ক্যাপসিকাম চাষ ৪ গুণ বাড়বে।

0 comments on “ক্যাপসিকাম চাষে লাভবান কৃষক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আর্কাইভ