Friday, 12 December, 2025

কিভাবে রসুনের চাষ করা হয় বিস্তারিত জেনে নিন।


একটি উল্লেখযোগ্য অর্থকরী মসলা জাতীয় ফসল রসুন । রান্নার স্বাদ, গন্ধ ও রুচি বৃদ্ধিতে রসুন অনেক বেশি ভূমিকা রাখে। এতে আমিষ, ক্যালসিয়াম ও সামান্য ভিটামিন ‘সি থাকে। রসুন ব্যবহারে অজীণর্তা,অর্শ, ক্রিমি, সর্দি, কাশি, টাইফয়েড, ডিপথেরিয়া, বাতরোগ, গুরুপাক, বলবর্ধক, শুক্রবর্ধক ও যে কোন প্রকার চর্মরোগ সারে। কিভাবে রসুনের চাষ করা হয় তা নিয়ে অনেকের কৌতুহল থাকে। তাই চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে রসুনের চাষ করা হয়।

রসুন চাষে মাটি

উর্বর দো-আঁশ জল জমে না এমন মাটিতে রসুন ভাল জন্মায় |

আরো পড়ুন
পাহাড়ে বারি-৪ লাউ চাষে সাফল্য: কাপ্তাইয়ের রাইখালী গবেষণা কেন্দ্রে বাম্পার ফলন
লাউ চাষের বাম্পার ফলন

দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলাস্থ রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র (পিএআরএস) বারি-৪ জাতের লাউ চাষে বড় ধরনের সাফল্য Read more

সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান

বাংলাদেশে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণে সকল পক্ষের স্বার্থকে সমন্বিত করে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি Read more

এঁটেল দো-আঁশ মাটিতেও এর চাষ করা যায়।

কিন্তু এঁটেল মাটিতে কন্দ সুগঠিত হয় না।

জমিতে পানি বের হয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা না থাকলে কন্দ বড় হয় না।  তাছাড়া রসুনের রং সুন্দর হয় না।

কিভাবে বপন করা হয়

শুকনো রসুনের বাহিরের সারির কোয়া বপন করা হয়।

১৫ সে.মি. দূরত্বে সারি করতে হয়। ১০ সে.মি. দূরে ৩-৪ সে.মি. গভীরে রসুনের কোয়া লাগাতে হয়।

রসুনে হেক্টর প্রতি গোবর ১০ টন, ইউরিয়া ২০০ কেজি, টিএসপি ১২৫ কেজি সার দিতে হয়।

এছাড়া এমওপি ১০০ কেজি, জিংক সালফেট ২০ কেজি, বোরাক্স ১০ কেজি ও জিপসাম ১০০ কেজি জমিতে প্রয়োগ করতে হয়।

জমি তৈরির সময়  গোবর, জিংক সালফেট, বোরাক্স, টিএসপি, ও জিপসাম মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হয়।

রসুন লাগানোর একমাস পর  ১ম কিস্তি দিতে হয়। ২ মাস পর ২য় কিস্তির উপরি সার প্রয়োগ করা হয়।

রসুন লাগানোর ১৫ দিন পর আগাছা হলে অবস্থা বুঝে একাধিকবার নিড়ানী দিতে হবে।

বন্যা প্লাবিত এলাকাতে মালচিং এর মাধ্যমে রসুন লাগানো সম্ভব।

নিড়ানী নির্ভর করবে রসুন ক্ষেতে আগাছার পরিমাণের উপর।

জমির রস বুঝে সেচ দিতে হবে। রসুনের কোয়া বপনের পরপরই একবার সেচ দিতে হয়।

চারা বের না হওয়া পর্যন্ত জমিতে পর্যাপ্ত রস থাকতে হবে।

চারা হয়ে গেলে ১০-১৫ দিন পর পর সেচ দিতে হবে। কন্দ গঠনের সময় উপযুক্ত পরিমাণে রস রাখার জন্য অবশ্যই সেচ দিতে হবে।

কন্দ যখন পরিপক্ক হতে থাকে তখন কম কম সেচ দিতে হয়।

পোকার আক্রমণ

থ্রিপস না্মক পোকার আক্রমন দেখা যায়। পাতার রস চুষে খায় বিধায় গাছ দূর্বল হয়ে পড়ে। স্ত্রী পোকা সরু, হলুদাভ এবং  পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ গাঢ় বাদামী। আক্রান্ত পাতা রূপালী রং ধারণ করে। পাতায় বাদামী দাগ বা ফোঁটা দেখা যায়।

পাতা শুকিয়ে বাদামী রং ধারণ করলে ঢলে পড়লে রসুন তোলার উপযোগী হয় বলে ধরা হয়। গাছসহ রসুন তোলা হয়।  ছায়াতে ভালভাবে শুকিয়ে মরা পাতা কেটে সংরক্ষণ করা হয়। প্রতি হেক্টরে ১০-১২ টন ফলন পাওয়া সম্ভব সহজেই।

0 comments on “কিভাবে রসুনের চাষ করা হয় বিস্তারিত জেনে নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ