প্রচলিত ও যান্ত্রিক উপায়ে ধান সংগ্রহের পরীক্ষামূলক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হিজলগাড়ি গ্রামের কেরুজ মাঠের ধানখেতে।
বৃহস্পতিবার সকালে কেরুজ মাঠে কৃষক সাব্বির আহমেদের ধানখেতের পাশেই বিশালাকার তাঁবু টাঙানো হয়। সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে একযোগে শুরু হয় প্রচলিত ও যান্ত্রিক উপায়ে ধান কেটে সংগ্রহের কাজ।
ধান সংগ্রহ শেষে কৃষক সাব্বির আহমেদজানান, প্রচলিত উপায়ে ২০ শতক জমিতে পাওয়া গেছে ৪৬৮.২৩ কেজি ধান ও কম্বাইন হার্ভেস্টারে পাওয়া গেছে ৪৯২.৭৯ কেজি।
স্থানীয় কৃষকরা বলেন, এক বিঘা জমির ধান কাটা, মাড়াই ও বস্তাবন্দী করতে প্রচলিত উপায়ে আটজন কৃষিশ্রমিক লাগে। প্রতিটি শ্রমিক ৫০০ টাকা হিসাবে আটজন শ্রমিকের পেছনে খরচ হয় ৪ হাজার টাকা। সেখানে ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকায় একই কাজ সুন্দরভাবে করা যাচ্ছে এবং সহজেই করা যাচ্ছে।
আরেকজন কৃষক জানান, তিনি নিজে একটি কম্বাইন হার্ভেস্টার কিনেছেন। এমনকি তার নিকটজনেরা আরও চারটি কম্বাইন হার্ভেস্টার ভর্তুকি মূল্যে কিনেছেন। যার সব কটিই তিনি তত্ত্বাবধান করেন । দুটি যন্ত্রের দাম মাত্র দুই বছরেই পরিশোধ করেছেন। বাকি দুটি যন্ত্রের দামও শীঘ্রই পরিশোধ করবেন। তার দাবি, এক দিনে সর্বোচ্চ ৩২ বিঘা জমির ধানকাটা, মাড়াই ও বস্তাবন্দী করেছেন তিনি একটি যন্ত্রে । পরিকল্পিত উপায়ে কাজে লাগাতে পারলে কম্বাইন হার্ভেস্টার কিনে অনেকেই বেকারত্বের হাত থেকে রক্ষা পাবেন।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, কৃষি দিন দিন আধুনিক হচ্ছে। কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে ধীরে ধীরে। কৃষিযন্ত্রের ওপর সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে। আগে কৃষকেরা ধান সংগ্রহে শুধু শ্রমিকের ওপর নির্ভর ছিল। এখন শ্রমিকের পাশাপাশি মাঠে লক্ষ করা যাচ্ছে বড় বড় কম্বাইন হার্ভেস্টার । সদর উপজেলাতেই এই আউশ মৌসুমে ৫০টির বেশি কম্বাইন হার্ভেস্টার দিয়ে ধান কাটা হচ্ছে।