সরিষা, সয়াবিন তেলের পাশাপাশি সরবরাহ কমেছে সূর্যমুখী তেলের। তাই দামও বেশি। বাজারে ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধির যে মিছিল চলছে, তাতে যোগ দিয়েছে সূর্যমুখী তেল বা সানফ্লাওয়ার অয়েল।
বাজারে এখন সয়াবিন তেলের সরবরাহেই টান পড়েছে। অনেক ক্ষেত্রে দোকানে গিয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে ক্রেতাদের। এ পরিস্থিতির কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে সূর্যমুখী তেলের ৫৮ শতাংশ উৎপাদিত হয় রাশিয়া ও ইউক্রেনে। গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর দেশ দুটি থেকে তেল আমদানি প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। সরবরাহ পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, তা-ও বলতে পারছে না বিপণনকারী কোম্পানিগুলো।
বাংলাদেশে সূর্যমুখী তেলের ভোক্তা মূলত মধ্যম ও উচ্চমধ্যম আয়ের মানুষেরা। বাজারে এখন ৫ লিটারের এক বোতল সূর্যমুখী তেলের দাম ব্র্যান্ডভেদে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮৭৫ টাকা, যা গত বছরের শুরুতে ৯৫০ থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকা ছিল। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, তেলটির দাম দফায় দফায় বেড়েছে। রোজার মধ্যেও বেড়েছে লিটারপ্রতি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) হিসাবে, সয়াবিন, পাম, শর্ষে ও কুঁড়ার তেল মিলিয়ে দেশে প্রায় ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। অলিভ অয়েল ও সূর্যমুখী তেলের বাজার ছোট বলে জাতীয় চাহিদার হিসাবের ক্ষেত্রে তা আলাদাভাবে বিবেচনা করা হয় না। অবশ্য যেসব পরিবার সূর্যমুখী তেল দিয়ে রান্না করে, তাদের ক্ষেত্রে সরবরাহ জরুরি।