মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, এ বছর কোরবানির হাটের জন্য গবাদিপশু সরবরাহের সংখ্যা গতবারের চেয়ে দুই লাখের বেশি বাড়ানো হয়েছে। এ বছর গরু, ছাগল, ভেড়া ও উট মিলিয়ে ১ কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৯টি কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত রয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত বছর কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার ৭৬৫টি। এর মধ্যে কোরবানি হয় ৯০ লাখ ৯৩ হাজার ২৪২টি পশু। প্রায় ২৮ লাখ গবাদিপশু বিক্রি হয়নি।
দুয়ারে কড়া নাড়ছে ঈদুল আজহা। ঈদকে সামনে রেখে প্রস্তুত হয়েছে রাজধানীর মোট ২১টি পশুর হাট। এসব হাটের প্রায় সবকটির প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। হাটের কিছু কিছু কাজ বাদ থাকলেও দ্রুত শেষ করার তোরজোড় চলছে। অপেক্ষা এখন ক্রেতা ও বিক্রেতার। ইতোমধ্যে দেশর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে শুরু করেছে কোরবানির পশু। গরু, মহিষ ও ছাগল আসা শুরু করলেও বেচাকেনা শুরু হয়নি। বেচাকেনা শুরু হতে আরও দুই-তিনদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে বিক্রেতা ও হাট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
হাটে গরু বাঁধার জায়গা পেতে অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন বিক্রেতারা। আকার অনুযায়ী প্রতিটি গরুর জন্য ১০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা লাগছে বলে জানান তারা। তবে হাট মালিক পক্ষ বলছে বিক্রেতারা বাড়িয়ে বলছে।
ফিজিয়ান জাতের একটি গরু নিয়ে পাবনা থেকে গাবতলি হাটে এসেছে ফিরোজ। গতকাল তিনি ঢাকায় এসে পৌঁছান। ‘বাদশা’ নামের এই গরুটির বয়স ৪ বছর। ওজন ১ হাজার ৪০০ কেজি। নিজ পালের বাছুরটি গত চার বছর ধরে যত্নে লালনপালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, বাদশার জন্ম আমাদের বাড়িতে। আমাদের পালের বাছুর। জন্মের পর থেকে আমার মা বাদশাকে লালনপালন করেছে। বাদশার দাম হাঁকা হচ্ছে ১৭ লাখ। তবে হাটে এসে এখন পর্যন্ত দাম হয়নি। অনেকে ফোন নাম্বার নিয়ে গেছে। তারা ফোনে দাম করেছে।
প্রস্তুত ঢাকার গাবতলীর হাট
গাবতলি হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য ছানোয়ার হোসেন বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, স্বাভাবিক সময়ে যেসব গরু এখানে আসে, সেগুলোই আসছে। কোরবানির গরু এখনো আসা শুর করেনি। দুই একটা আসছে মাত্র। কোরবানির তিন-চারদিন আগে ভালোমতো আসা শুরু হবে। হাটের প্রস্তুতির কাজ ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। মেজর কাজ নাই, শেষ করেছি। কিছু কিছু জায়গায় বিদ্যুতের কাজ চলছে, দ্রুতই শেষ হয়ে যাবে।