এবার কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে রাজবাড়ীতে সবার দৃষ্টি কেড়েছে ৪০ মণ ওজনের ষাঁড় ‘রাজবাড়ীর রাজবাহাদুর’ এবং সিংহরাজ। জেলার সবচেয়ে বড় গরু হিসেবে ব্যাপক আলোচনায় গরু দুটি। এটি দেখতে প্রতিদিন গরু মালিকের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক জনতা। দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন ক্রেতারা।
রাজবাড়ীর রাজবাহাদুর এর মালিক রাজবাড়ির জেলার কালুখালী উপজেলার মাঝবাড়ি ইউনিয়নের বংকুড়ি গ্রামের কৃষক মো. মাজেদ আলী খান।১০ ফুট লম্বা ও ৭ ফুট উচ্চতার কালো রংয়ের গরুটির দাম হাঁকছেন ১৫ লাখ টাকা।
খামারি মাজেদ আলী খান বলেন, ২০২০ সালে আমার পোষা গরু থেকে বাছুরটি জন্ম নেয়। বাছুরটি দেখতে খুব সুন্দর ছিল। আমেরিকান ডেইরি জাত থেকে জন্ম নেওয়া বাছুরটি বড় করার সাধ জাগে। সেখান থেকে বাড়তি যত্ন শুরু করি। রাজবাড়ী জেলা মূলতো রাজ-রাজাদের জেলা। তাই বাছুরটির নাম দেই ‘ রাজবাড়ীর রাজবাহাদুর’।
ক্রেতারা বলছেন, গরুটি দেখতে ভালো। রাজবাড়ীর সেরা গরু এটা। আমরা ভেবেছিলাম ১০ লাখ টাকার মধ্যে হলে গরুটি ক্রয় করবো। কিন্তু কৃষককের প্রত্যাশা আরও বেশি। তাই ফিরে যাচ্ছি। বড় গরুর সঠিক ওজন প্রাণীসম্পদ দপ্তর থেকে নির্ধারণের দাবি ক্রেতাদের। তবে সবেচেয়ে বড় বিষয়, গরুটি কৃষকের হাতে বড় হয়েছে।
জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ফজলুল হক বলেন, জেলায় দুইটি বড় গরু পালন করছেন খামারিরা। আমাদের নজরে এসেছে রাজবাড়ীর ‘রাজবাড়ীর রাজবাহাদুর’ ও ‘সিংহরাজ’। কৃষক মাজেদ আলী কোনো খামারি নয়। সে একজন কৃষক। তার লালন-পালন করা খামার থেকে গরুটি জন্ম নেয়। গরুটি প্রাকৃতিক খাদ্য নির্ভর এবং মানসম্মত।