ইউরোপের বাজারে কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে নেয়া হচ্ছে উদ্যোগ। এর অংশ হিসেবে কৃষিমন্ত্রীর নেতৃত্বে যুক্তরাজ্য (ইউকে) ও নেদারল্যান্ড সফরে যাচ্ছে ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল। দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীরাও রয়েছেন এই সফরে। আশা করা যাচ্ছে যে ইউরোপের বাজারে কৃষিপণ্যের রপ্তানি সংক্রান্ত নতুন সম্ভাবনা উন্মোচন হবে।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত বরার্ট চ্যাটারসন ডিকশনের সঙ্গে বৈঠক করেন কৃষিমন্ত্রী।
এরপর কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের সফরের তথ্য জানান।
তিনি জানান যে, এক সময় খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিল বাংলাদেশ।
এখন আমরা আমাদের প্রধান খাদ্য ভাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে আমাদের শাক-সবজি ফলমূল, তেল-ডাল, পেঁয়াজসহ সব কিছুরই।
এখন সরকার চিন্তা করছে কিভাবে কৃষকের আয় বাড়ানো যায়।
েএর জন্য বাণিজ্যিক কৃষিতে যেতে হবে বলে জানান মন্ত্রী।
সেই সাথে বাণিজ্যিক কৃষিতে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় তুলনামূলকভাবে কম বলে তিনি বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, শাক-সবজি ও ফলমূলের উৎপাদন বেড়েছে।
তাই এগুলো রপ্তানির সুযোগ রয়েছে।
যুক্তরাজ্য ও মধ্যপ্রাচ্যে, কিছু কিছু রপ্তানি করা হয়।
সেখানে বাঙালি যারা কাজ করে তাদের জন্য এগুলো সরবরাহ করা হয়।
তাই সরকার ইউরোপীয় দেশে উন্নত দেশের মূল মার্কেটে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছে।
আব্দুর রাজ্জাক জানান যে তার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নেদারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যে (ইউকে) যাচ্ছে।
এতে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরী, ফ্রেস গ্রুপের মোস্তফা কামাল, এসিআইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এফ এইচ আনসারী এবং বাংলাদেশ ফ্রুটস, ভেজিটেবল অ্যান্ড অ্যালাইড প্রোডাক্টস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন থাকছেন।
লিডিং বিজনেস হাউজগুলোর প্রায় সবাই যাচ্ছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে প্রতিনিধিদলে সরকারি কর্মকর্তারা থাকবেন বলে।
আগামী ৯ থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি দুটি দেশ সফর করবে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী।
এই সফরের বিষয়ে…ইউকেতে সরকার চাচ্ছে বড় বড় কোম্পানির সিওদের সঙ্গে, পরিবেশ ও কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এবং তাদের সঙ্গে একটা লিংকেজ সৃষ্টি করতে।
এতে দেশের কৃষি পণ্যের রপ্তানি বাড়ানো সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
এটা নিয়ে আলোচনাকালে রাষ্ট্রদূত সহযোগিতা করবেন বলে জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন রপ্তানি বাড়ানো গেলে কৃষকদের আয়ও বাড়বে।
তিনি েউল্লেখ করেন, পোল্ট্রি বা দুধ কিংবা ডিম একটু বেশি উপাদন হলেই আর বিক্রি করা যায় না।
মানের বিষয়েও যাচাই করতে যাচ্ছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন ইউরোপীয় স্ট্যান্ডার্ডের ক্ষেত্রে কী কী রিকয়ারমেন্ট, গুড এগ্রিকালচার প্র্যাকটিসেস, অ্যাক্রেডিটেড ল্যাবের সার্টিফিকেট দরকার তা জানবেন তারা।
মানুষের নিরাপদ খাদ্য খুবই স্পর্শকাতর একটি বিষয় উল্লেখ করে একে কিভাবে নিরাপদ করা যায় সেগুলো নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন।
বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের কারিগরি সহযোগিতা চায় বলে জানিয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ ফান্ডিং সাপোর্ট নয়।
এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিও সেটআপ করা সম্ভব হবে তবে কারিগরি সহযোগিতা দরকার বলে তিনি মনে করেন।
প্রধানমন্ত্রী ‘পূর্বাচলে একটি প্যাকেজিং প্রতিষ্ঠানের জন্য ২ একর জমি দিয়েছেন।
সেখানে সরকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অ্যাক্রেডিটেড ল্যাব করবে।
জলবায়ু সম্মেলন নিয়ে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে জানিয়েছেন বলে কৃষিমন্ত্রী জানান।