Friday, 26 September, 2025

আলুর ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কা


এবছর ভালো আবহাওয়া, দীর্ঘমেয়াদী শৈত্যপ্রবাহ না থাকায় এবং রোগ-বালাই কম হওয়ায় দিনাজপুরে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে আলুর ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে লোকসানের শঙ্কায় আছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গতবছর ৪৪,৯০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। চলতি মৌসুমে দিনাজপুর জেলায় ৪৮,৮৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। এবারে আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১০,৭১৩৬০ মেট্রিক টন।

বর্তমানে প্রতি হেক্টর জমিতে ১৮ টন থেকে ২২ টন পর্যন্ত আলু উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। উচ্চ ফলনশীল আলু জাতের মধ্যে কারেজ, কার্ডিয়াল, স্টারিক্স, ডায়মন্ড, রুমানা, গ্রানুলা, কাবেরী আর স্থানীয় আলুর মধ্যে সাদা পাটনাই, চল্লিশা, শীল বিলাতী, লালপাকড়ী, বগুড়াই চাষ হয়েছে।

আরো পড়ুন
ধানের বাম্পার ফলন: ফুল ফোটার সময় কৃষকের করণীয়

বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য ধান। এ দেশের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা এই ফসলের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। ধানের ফলন বাড়াতে হলে এর Read more

ঢাকায় শুরু হলো আগ্রোফরেস্ট্রি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং গ্রামীণ জীবিকা উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকায় শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক বিশেষজ্ঞ বৈঠক। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) Read more

নবাবগঞ্জের মাহামুদপুরের পাদুহার গ্রামের আলু চাষি ফরিদুল ইসলাম জানান, সাত বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। বাজারের যে অবস্থা আলুর দর নিয়ে চিন্তায় আছি। বৃহস্পতিবার ৮০ কেজির বস্তা বিক্রি হয়েছে ৪০০-৫০০ টাকা। প্রতি কেজি বিক্রি মাত্র ১০ টাকা। এরপর প্রতিদিনই দর কমতে থাকলে, ভালো ফলন হয়েও খরচের টাকা ওঠবে না। বরং লোকসান হবে।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. তৌহিদুল ইকবাল বলেন, এবার জেলায় প্রায় চার হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ বেশি হয়েছে এবং ভাল ফলনও হয়েছে। রোগ-বালাই কম। আগাম আলুতে কৃষকরা ভাল দাম পেয়েছে। পরবর্তী সময়েও আলুর দাম পাবে কৃষকরা।

তবে বিদেশে আলুর রপ্তানি বাড়ানোর পাশাপাশি আলুর বহুমুখী ব্যবহার বাড়াতে নানামুখী খাবার তৈরিতে উৎসাহ সৃষ্টি করার জন্যে সরকারের নানা উদ্যোগ গ্রহণ করলে কৃষক লাভবান হবে।

0 comments on “আলুর ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ